প্রকৃতির রোষের মুখে মহারাষ্ট্র, প্রবল বৃষ্টিতে রায়গড় সহ বিভিন্ন জেলায় মৃত ১৩৬

Spread the love

প্রবল বৃষ্টির জেরে খুবই ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মহারাষ্ট্রের বিস্তীর্ণ এলাকায়। এর জেরে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত সেরাজ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে প্রাণ হারাল ১৩৬ জন। এখনও বিভিন্ন জায়গায় জারি রয়েছে উদ্ধারকাজ। মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এদিন সকালে এই সংখ্যা সংবাদমাধ্যমের কাছে তুলে ধরেন মহারাষ্ট্রের ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী বিজয় ওয়াদেত্তিওয়ার। রায়গড়ে এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। জানা গিয়েছে, রায়গড়ে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেও। ইতিমধ্যেই প্রায় ৯০ হাজার মানুষকে ৭ জেলা থেকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এদিকে মহারাষ্ট্রের রায়গড়ের বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে। জানা গিয়েছে লাগাতার বৃষ্টির জেরে জেলার নানা প্রান্তে ধস নামতে শুরু করেছে। তাতে প্রাণ গিয়েছে বহু মানুষের। বুধ-বৃহস্পতিবার থেকেই জেলায় বৃষ্টির তীব্রতা বেড়েছে। আর তার জেরেই ঘটছে ভূমিধসের ঘটনা। প্রাথমিকভাবে দুর্গতদের উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছেন পুলিশ কর্মীরা। বন্যা ও ধস কবলিত এলাকা থেকে অনেককে উদ্ধারও করেছেন তাঁরা। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় এখনও বহু মানুষ আটকে রয়েছেন বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা যাচ্ছে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ইতিমধ্যে যে খবর সামনে এসেছে, তা হল, ভূমিধসে যাঁদের প্রাণ গিয়েছে, তাঁদের অধিকাংশ রায়গড় জেলার তালাই গ্রামের বাসিন্দা। ধস যেখানে নেমেছে, সেখানে আরও অনেক বাসিন্দা আটকে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু, বৃষ্টির তীব্রতা বাড়ায় এখনও তাঁদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ইতিমধ্যেই বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও উপকূল রক্ষী বাহিনীকে উদ্ধারকাজে নামার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, একটানা বৃষ্টিতে বিপদ বাড়ছে কোলাপুর জেলারও। জলস্তর বাড়ছে স্থানীয় পঞ্চগঙ্গা নদীতে। বৃহস্পতিবার রাতেই বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল নদীর জলস্তর। এরই মধ্যে মাহাডে আটকে থাকা বাসিন্দাদের উদ্ধারের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার তথা সেনাবাহিনীর কাছে সাহায্য চেয়ে পাঠায় মহারাষ্ট্র সরকার। কোলাপুর জেলায় অন্তত ৪৭টি গ্রামের বাসিন্দারা জলবন্দি হয়ে রয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*