ফাঁদে পা দিয়েই ধরা পড়লো মাদক চক্রের মূল পাণ্ডা মুহিবুর রহমান, উদ্ধার লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ ট্যাবলেট

Spread the love
ফাঁদটা পাতা হয়েছিল বিশ্বস্ত সূত্র দিয়েই। যাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহের অবকাশ না থাকে। সেই ফাঁদে পা দিয়েই ধরা পড়ল মাদক চক্রের মূল পাণ্ডা মুহিবুর রহমান। তার কাছে থেকে উদ্ধার হয় লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ ট্যাবলেট। মুজিবুরকে জেরা করে তার গোটা দলকেই গ্রেফতার করেছে নার্কোটিক সেলের অফিসাররা।
শহরের বুকে বেশ জাঁকিয়ে বসে মাদক ট্যাবলেটের রমরমা কারবার চালাচ্ছিল মুহিবুর। পুলিশ জানিয়েছে, মুহিবুর অসমের বাসিন্দা, কুখ্যাত মাদক-পাচারকারী। নিষিদ্ধ ট্যাবলেট পাচারের উদ্দেশ্যেই সে কলকাতায় এসেছিল। উঠেছিল তিলজলা রোডের একটি হোটেলে। বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেয়ে বহুদিন ধরেই মুহিবুরের চালচলনের উপর লক্ষ্য রাখছিলেন নার্কোটিক সেলের অফিসাররা।
গত সপ্তাহ খরিদ্দারের কাছে মাদক পৌঁছে দিতে সে আসে বেনিয়াপুকুরে। সেখানে আগে থাকতেই অপেক্ষা করছিলেন পুলিশ কর্তারা। হাতেনাতে মাদক-সহ ধরা পড়ে মুহিবুর। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় হাজার খানের নিষিদ্ধ ট্যাবলেট যার নাম Methamphetamine। মাদক-প্রেমীদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় এই ট্যাবলেট। পুলিশ জানিয়েছে, পাচারকারীদের হাত ধরে এই ধরনের নিষিদ্ধ ট্যাবলেট পৌঁছে যাচ্ছে স্কুল-কলেজ পড়ুয়াদের কাছে। নৈশ ক্লাবগুলিতে এই মাদকের চাহিদা অনেক। হাজারটি ট্যাবলেটের বাজার দর কম করেও দেড় লক্ষ টাকা। মণিপুর থেকে কলকাতায় এই মাদক আমদানীর কাজ করত মুহিবুর।
মুহিবুর ধরা পড়ার পর গোয়েন্দাদের লক্ষ্য ছিল তার দলের বাকি কারবারিদের দিকে। ধৃতকে জেরা করেই সেই গোপন ডেরার খোঁজ মেলে। গত ৬ নভেম্বর দমদমের কবি মধুসূদন দত্ত রোডের একটি বাড়ি থেকে মুহিবুরের অন্যতম শাগরেদ অনির্বাণ দে নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। অনিবার্ণের সূত্রে ধরেই ধরা পড়ে আরও তিনজন— শ্যামলাল যাদব, সাহিন মণ্ডল এবং বিষ্ণু প্রধান। ধৃতদের প্রত্যেকের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার হয়েছে। সব মিলিয়ে ৫৬০০টি ট্যাবলেট যার মোট ওজন ৫৯১ গ্রাম। বাজারদর সাড়ে দশ লক্ষ টাকার কাছাকাছি।
মুহিবুর-সহ ধৃত পাঁচজনকেই পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*