সামনেই পুজো। তাই আর সময় নষ্ট করতে চায় না রাজ্য সরকার। মাঝেরহাটে সেতু ভাঙার কারণে বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থাকে খানিকটা আয়ত্তে আনতে বিকল্প রাস্তার জায়গা চূড়ান্ত করে ফেলল পূর্ত দফতর এবং কেএমডিএ। বুধবার ঘটনাস্থলে যান সরকারি আধিকারিকরা। ব্রিজের যে দিকে মেট্রো প্রকল্পের কাজ হচ্ছে তার উল্টোদিকে খালের উপরে কালভার্ট দিয়ে তৈরি হবে এই রাস্তা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাস্তা নির্মাণ করতে চাইছে পূর্ত দফতর এবং কেএমডিএ। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে গাছ কাটাও।
মাঝে রয়েছে রেললাইন। ফলে এই রাস্তায় লেভেল ক্রসিং করতেই হবে। রাজ্য সরকার রেলকে ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়েছে। রেলের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, রাজ্যের চিঠি এসেছে। পূর্ব রেলও কেন্দ্রীয় রেল বোর্ডের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠিয়ে দিয়েছে। দিল্লি থেকে গ্রিন সিগন্যাল এলে তবেই সরকারিভাবে লেভেল ক্রসিং-এর ছাড়পত্র মিলবে।
মাঝেরহাট ব্রিজ নতুন করে নির্মাণের জন্য খড়্গপুর আইআইটি-র ইঞ্জিনিয়ারদের উপর ভরসা রাখতে পারছে না রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর বিদেশি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে পূর্ত দফতর। এর আগেই অবশ্য এই ইঙ্গিত ছিল মুখ্যমন্ত্রীর কথায়। তবে দেশের মধ্যে লার্সেন অ্যান্ড টুব্রোর সঙ্গেও কথা চালাচ্ছেন সরকারি আধিকারিকরা।
অন্যদিকে, কেএমডিএ সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদের আওতায় থাকা সমস্ত সেতুতে হাইটবার লাগানো হবে। যাতে ওভার লোডেড গাড়ি উঠতে না পারে। এমনিতেই পুলিশের চোখ এড়িয়ে অনেক সময় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা ভঙ্গ হয়। কিন্তু মাঝেরহাট সেতু ভঙ্গের পর এ বিষয়ে সতর্ক প্রশাসন। এর আগে ‘বিপজ্জনক’ ২০ টি সেতুতে আগেই পণ্যবাহী গাড়ি নিষিদ্ধ করেছিল প্রশাসন। গোটা রাজ্যেই নিষিদ্ধ হয়েছে বিশ চাকার লরি। এ বার হাইটবার বসিয়ে পাকাপাকিভাবে বেশি উচ্চতার পণ্যবাহী গাড়ি রুখতে তৎপর প্রশাসন।
Be the first to comment