নিজের ঘরেই বিছানার পাশে পড়েছিল ফ্যাশন ডিজাইনার মালা লেখানির ক্ষতবিক্ষত দেহ। ছুরি দিয়ে বার বার আঘাত করা হয়েছে সারা শরীরে। পাশের ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে তাঁর পরিচারক বাহাদুর। দিল্লির বসন্ত কুঞ্জে এই জোড়া খুনের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
খুনের ঘটনা ঘটে বুধবার রাতে। পুলিশ জানিয়েছে, মালা ও তাঁর পরিচারককে খুন করেছে তাঁর বুটিকেরই তিন কর্মী। ধৃতদের নাম, রাহুল আনওয়ার, রেহমত ও ওয়াসিম। খুনের পর বুটিকের যাবতীয় জিনিসপত্র ও মালার বাড়ি থেকে টাকা, গয়না সরিয়ে তারা চম্পট দিয়েছিল। মহিলার গাড়িতে চেপেই পালাবার সময় পুলিশ ধরে ফেলে তাদের। জেরায় খুন ও ডাকাতির কথা স্বীকার করেছে ধৃতেরা।
বসন্ত কুঞ্জের এ-ব্লকের একটি আবাসনে থাকতেন মালা। বয়স বছর পঞ্চাশ। গ্রিন পার্ক এলাকায় ছিল তাঁর বুটিক। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার দিন রাত দশটা নাগাদ মালার বাড়িতে আসে রাহুল। বুটিকের যাবতীয় দায়িত্ব সেই সামলাত। রাহুলকে জেরা করে পুলিশ জেনেছে, খুনের পরিকল্পনা তারা বহুদিন ধরেই করছিল। ওই দিন নতুন কিছু ডিজাইন দেখানোর নামে মালার বাড়িতে ঢোকে সে। কাপড়ের নকশা দেখানোর মাঝেই আচমকা ছুরির কোপ বসিয়ে দেয় মালার পেটে। তার পর একাধিক বার ছুরি দিয়ে আঘাত করে তাঁকে। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত লুটিয়ে পড়েন মালা।
বাড়িতে সেই সময় ছিলেন মালার পরিচারক বাহাদুর। খুনের ঘটনা দেখে ফেলেন তিনি। সমস্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ মেটাতে তাই বাহাদুরকেও কুপিয়ে খুন করে তিন জন। রাত তিনটে নাগাদ খবর পেয়ে দু’জনের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ আধিকারিক অজয় চৌধুরী জানিয়েছেন, ডাকাতির উদ্দেশ্যেই এই খুন। জেরায় এমনটাই জানিয়েছে ধৃতেরা। তবে এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কি না সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Be the first to comment