ত্রিপুরায় তৃণমূলের ১৪ জন কর্মী গ্রেফতারের রেশ কাটতে না কাটতেই আবার গ্রেফতার ৫ জন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী ও সমর্থক। তাঁদের ছাড়াতে বুধবার সকালে ত্রিপুরা পৌঁছালেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। যদিও এই তৃণমূল কর্মী এবং সমর্থকদের কী কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে সে কথা স্পষ্টভাবে বলতে পারছেন না এই রাজ্যে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।
তবে ত্রিপুরা থেকে যতটুকু খবর পাওয়া যাচ্ছে, মঙ্গলবার ত্রিপুরার আমবাসায় একটা রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়। আর সে কারণেই গ্রেফতার করা হয় ৫ জনকে। ধৃতদের মঙ্গলবার আদালতে তোলা হয়েছে। আপাতত এই তৃণমূল কর্মীরা জেল হেফাজতে রয়েছেন। দলের এই কর্মী-সমর্থকদের জেল থেকে ছাড়ানোর উদ্দেশ্যেই ত্রিপুরা পৌঁছেছেন পশ্চিমবঙ্গের আইনমন্ত্রী।
জয়া সহ যুব তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতারের পর এভাবেই আগরতলা পৌঁছে দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই দায়িত্ব পড়েছে মলয় ঘটকের উপর।
প্রসঙ্গত দেবাংশুরা যখন ত্রিপুরা গিয়েছিলেন সেই সময় তাঁরা যাঁর আশ্রয় ছিলেন, এবার সেই উত্তম কলুইকে গ্রেফতার করেছে ত্রিপুরা পুলিশ। এই ঘটনা মূলত তৃণমূল নেতাদের আশ্রয় দেওয়ার কারণে করা হয়েছে বলে দাবি তুলেছে সে রাজ্যের তৃণমূল। এখন দেখার মলয় ঘটক গিয়ে তাঁদের আদৌও জেল থেকে বার করতে পারেন কি না।
উল্লেখ্য ত্রিপুরায় এখন দুই ফুলের লড়াই। একদিকে ঘাসফুল যখন সেখানে নিজেদের জমি তৈরি করতে মরিয়া। পাল্টা নাছোড় পদ্মশিবিরও। এক চুলও জায়গা ছাড়বে না বিরোধীদের। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যত দিন এগোবে ততই বাড়বে ত্রিপুরায় এই টক্কর। ইতিমধ্যেই নাম না করে তৃণমূলকে অনুপ্রবেশকারী বলে তকমা দিয়েছেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। পাল্টা তৃণমূল নেতার কটাক্ষ, “এই মুহূর্তে দেশের সব থেকে আনপপুলার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব।”
অন্যদিকে, নাম না করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে এক অনুষ্ঠানে বিপ্লব দেব বলেন, “ত্রিপুরার সমৃদ্ধিকে বিভ্রান্ত করার জন্য অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকতে চাইছে। নিজেরা তো করতে পারছে না কিছু। অন্যের জায়গায় অশান্তি করছে। রণকৌশল সাজাচ্ছে। আমরা রাজনীতি অন্য কারও কাছ থেকে শিখি না। আমাদের কাছে দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ রাজনীতিজ্ঞ চাণক্য ছিলেন।”
Be the first to comment