একদিকে রাজ্যের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরার পাশাপাশি বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বঞ্চনা নিয়ে বিধানসভায় সরব হয়ে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে বিরোধী দলের বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে চলার বার্তাও দিলেন তিনি। বললেন, “বিরোধী দলকে বলব, কাজ করতে ভুল হলে গঠনমূলক সমালোচনা করুন। প্রয়োজনে আমার কাছে আসুন।”
সংখ্যালঘু উন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যতটা কাজ হয়েছে সবটাই রাজ্য সরকারের টাকায়। চলতি আর্থিক বছরে এক টাকাও কেন্দ্র দেয়নি। তা সত্ত্বেও সংখ্যালঘু স্কলারশিপে দেশের মধ্যে আমরা এক নম্বর। আমরা ৪৫ লক্ষ ছাত্রছাত্রীকে স্কলারশিপ দিই। সংখ্যালঘুদের জন্য বহু কাজ চলছে। ঢেলে সাজানো হয়েছে।” কোথায় কত টাকা বরাদ্দ হয়েছে সেই তালিকাও এদিন বিধানসভায় তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সংখ্যালঘুদের অনেকেই এখন আইএস, আইপিএস হচ্ছে। সংখ্যালঘু উন্নয়নের জন্য এবং মাদ্রাসাকে আরও বেশি আধুনিক করার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে একটি হাই পাওয়ার কমিটি গঠন করা হচ্ছে। এই কমিটির কাজ হবে সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে তারা ছ’মাসের মধ্যে সরকারকে রিপোর্ট দেবে। যে মাদ্রাসাগুলোর রেজিস্ট্রেশন নেই, তারা সেগুলো খতিয়ে দেখবে। এই কমিটিতে রাখা হবে সংখ্যালঘু বিশিষ্ট মানুষজনদের।” এছাড়াও সনাতন সম্প্রদায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য রাজ্য সরকারের বেশ কিছু পরিকল্পনার কথাও জানান মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “সাঁওতালি ছেলে মেয়েদের জন্য নাচ এবং গানের জন্য ডিপ্লোমা কোর্স চালু হচ্ছে। সাঁওতালি ভাষায় এমএ পড়ার ব্যবস্থা। সব রিজনাল ল্যাঙ্গোয়েজে লেখাপড়ার সুযোগ আরও বাড়ানো হচ্ছে। ওবিসিদেরও স্কলারশিপ দেওয়া হচ্ছে। স্বনিযুক্তির জন্য মাইক্রো ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হয়েছে।”
পাশাপাশি বাংলার বকেয়া টাকা আটকে রাখায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বাংলার ১১ লক্ষ ১ হাজার ৭৫৭ বাড়ির জন্য গৃহ নির্মাণে কেন্দ্রীয় সরকার এক টাকাও দেয়নি।” মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “এত টিম পাঠানোর পরেও, এত রিপোর্ট দেবার পরেও, এত বার গিয়ে দেখা করার পরেও, এমনকী আমি প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করার পরেও দেয়নি। আমি শুনেছি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছেন রাজনৈতিক কারণে দেওয়া যাচ্ছে না।”
Be the first to comment