পেগাসাস ‘হ্যাক’ বিতর্কের মধ্যেই বেফাঁস মন্তব্য করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার সেই মন্তব্যকে হাতিয়ার করলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে শুভেন্দুর উদ্দেশে বললেন, ‘অনেক গদ্দার আছেন, যাঁরা মুখে মুখে বড় কথা বলছেন। আবার ফোন ট্যাপিংয়ের কথাও বলছেন।’
বুধবার পেগাসাস ‘হ্যাক’ নিয়ে বিজেপি সরকারকে তোপ দাগেন মমতা। পরে বলেন, ‘বাংলায় এখনও আমাদের অনেক কাজ বাকি আছি। আমরা যে নির্বাচন পেরিয়ে এসেছি, আমরা অনেক শিক্ষা পেয়েছি। যাঁরা গদ্দারি করেছেন, সেই গদ্দারদের মনে রাখবেন। অনেক গদ্দার (পড়ুন শুভেন্দু) আছেন, যাঁরা মুখে মুখে বড় কথা বলছেন। আবার ফোন ট্যাপিংয়ের কথাও বলছেন। এই গদ্দারদের একদিন রাজনৈতিকভাবে বিদায় দেবেন। এটা আমি বিশ্বাস করি। আর বিজেপিতে গদ্দারদেরই জন্ম হয়।’
প্রসঙ্গত, রবিবার ‘দ্য গার্ডিয়ান’, ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’, ‘দ্য ওয়ার’-সহ ১৭ টি সংবাদমাধ্যমের একটি গোষ্ঠীর প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ‘পেগাসাস’ নামে পরিচিত একটি ফোন হ্যাকিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে বিশ্বব্যাপী হাজার-হাজার মানুষকে নিশানা করা হয়েছিল। ‘দ্য ওয়ার’-এর প্রতিবেদনে সোমবার দাবি করা হয়েছে, ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের ফোনে আড়ি পাতা হয়েছিল। সম্ভাব্য তালিকায় তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও ছিল বলে ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়।
সেই বিতর্কের মধ্যেই শুভেন্দু বলেছিলেন, ‘আমি আইসি, ওসি, এবং ওসির ভূমিকার তদন্তের জন্যে সিবিআইয়েরর তদন্তের দিকে যাচ্ছি। তাহলে বুঝতে পারবেন, তখন কিন্তু পিসিমণি, চটিমণি কেউ বাঁচাতে পারবে না। ভাইপোর অফিস থেকে যাঁরা আপনাকে ফোন করে, আমার কাছে প্রত্যেকটা কল রেকর্ড, ফোন নম্বর আছে। আপনাদের হাতে যদি রাজ্য সরকার থাকে, আমার কাছেও কেন্দ্রের সরকার আছে।’ শুভেন্দুর সেই মন্তব্যকে ‘প্রমাণ’ হিসেবে তুলে ধরতে শুরু করেছে তৃণমূল।
যদিও পেগাসাস ‘হ্যাক’-এর সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও যোগ নেই বলে দাবি করেছেন দুই শীর্ষ মন্ত্রী। পুরো বিতর্কের সঙ্গে কেন্দ্র বা বিজেপির নাম জড়ানোর জন্য ছিঁটেফোটা প্রমাণও নেই বলে দাবি করেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ।
Be the first to comment