“কিছু কুলাঙ্গার জন্মায় যাদের কাজ গদ্দারি করা।” নাম না করে মঙ্গলবার এই ভাষাতেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপিকে একযোগে নিশানা করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিঘায় বুথ ভিত্তিক কর্মী সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে শুভেন্দুর দিকে আঙুল তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই জেলাতেই কয়েকজন হার্মাদ চাকরি বিক্রি করেছে। পুরুলিয়ার চাকরিও এখানে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল। আমাদের অজান্তে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।”
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, “যাঁদের খাইয়ে পরিয়ে মানুষ করেছিলাম। তাঁরা আজ এসব করছে। ভাবছে যাই এবার দিল্লি দখল করে আসি। বাংলা দখল করতে পারে না। তাঁর আবার বড় বড় কথা। বলেছিল ২০০ পাবে, কিন্তু সেটা পায়নি তাই নন্দীগ্রাম লুঠ করল। যে কটা সিট পেয়েছে সেটাও লুঠ করে। তিন ঘন্টার লোডশেডিং কেন হয়েছিল তার উত্তর চাই। নির্বাচন কমিশনের অধিনে যখন ক্ষমতা ছিল তখন হিংসা হয়। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর কোনও হিংসা হয়নি। ভোট পরবর্তী হিংসায় এখনও আমাদের ১০০০ ছেলে জেলে আছে এই গদ্দারদের জন্য।” এরপরই সুর চড়িয়ে মমতা বলেন, কিছু কুলাঙ্গার জন্মায় যাদের কাজ গদ্দারি করা। বাড়ির টাকা আটকে দিচ্ছে, ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে দিচ্ছে, বলছে ভাতে মারো। বাংলার টাকা যে বেইমানরা আটকাচ্ছে তাদের বাংলায় থাকার অধিকার নেই।”
এরপর সরাসরি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তোপ দেগে মমতা বলেন, “আর একটা বছর টিমটিম করে জ্বলবি তারপর বিদায় নিবি। ওরা আমাদের প্রাপ্য টাকা আটকে দিয়েছে। কিন্তু আমি গরিব মানুষগুলির জন্য আমি ১০০ দিনের কাজে ৪০ দিনের কাজ করিয়েছি। ১২০০০ কিমি রাস্তা আমরা করছি। এই রাস্তার তৈরির যা কাজ সব ১০০ দিনের কোটায় ঢুকবে।”
Be the first to comment