একুশের নির্বাচনে মহিলাদের ভোট কাজ করেছিল। তিনি নিজেও মহিলা। এবার মহিলাদের সুরক্ষার জন্য নয়া দাওয়াই দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের মহিলাদের উপর কোনওরকম অত্যাচারের হলে পুলিশকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন তিনি বলেন, ‘তফশিলি, আদিবাসী মা–বোনেদের উপর অত্যাচার হলে ব্যবস্থা নিতে হবে। কোনও ঘটনা যাতে না ঘটে সেদিকেও নজর দিতে হবে। শকুনিরা চারিদিকে চক্রান্ত করবেই। আমাদের অ্যালার্ট থাকতে হবে।’ এখানেই থেমে না থেকে রাজ্যের ডিজি বীরেন্দ্রকে তিনি নির্দেশ দেন, ‘কোনও অ্যাট্রেসিটিস হলে, এনকোয়ারি করে যদি দেখেন এটা সত্যি তাহলে স্ট্রং অ্যাকশন নেবেন। কাউকে বাঁচানোর কোনও ব্যাপার নেই।’
নবান্নে সিডিউল কাস্ট অ্যাডভাইজারি কাউন্সিলের বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। তাঁর অনুরোধে মুখ্যমন্ত্রী বলাগড়ে দলিত সাহিত্য অ্যাকাডেমির শাখা করারও নির্দেশ দেন। সাঁওতালি, লেপচা, গোর্খা অ্যাকাডেমি মুখ্যমন্ত্রীর অনেকগুলি বই অনুবাদ করেছে। নভেম্বর কিংবা ডিসেম্বর মাসে রাজ্যে দলিত সাহিত্য সম্মেলন করার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার খরচও দেবে রাজ্য সরকার। সেখানে প্রতিটি রাজ্য থেকে ৫ জন করে দলিত সাহিত্যিককে আমন্ত্রণ করার কথাও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
তফশিলি জাতি, উপজাতি প্রমাণের কোনও কাগজ নেই, এমন ৭ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে। সেগুলি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মতুয়াদের নাগরিকত্ব ইস্যু নিয়ে একুশের নির্বাচনের আগে বিজেপির নানা কথার কড়া সমালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ তো কিছু করে না। নির্বাচনের সময় আসে আর মিথ্যে কথা বলে। কাজটা যা করার কিন্তু আমরাই করেছি। ঠাকুরবাড়িতে আমি ছাড়া কে যেত? কেউ যেত না। বড়মাকে ২০-৩০ বছর ধরে কে দেখেছে? এরা এখন বড় বড় কথা বলে সব। বাইরের লোক এসে হঠাৎ নির্বাচনের আগে চলে যাচ্ছে। সার্টিফিকেট দেব! কিসের সার্টিফিকেট দেবে? শুধু মিথ্যে কথা।’
Be the first to comment