পাহাড় সফরের প্রশাসনিক ব্যস্ততার মধ্যেই বুধবার ফুরফুরে মেজাজে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে। বুধবার সকালে পাহাড়ি রাস্তায় প্রাতঃভ্রমণে বেরোন তিনি ৷ হাঁটেন প্রায় ১০ কিলোমিটার ৷ স্থানীয় একটি দোকান থেকে নাতনির (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের মেয়ে) জন্য একজোড়া জুতো ও একজোড়া চটিও কেনেন ৷ খোদ রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকে ক্রেতা হিসাবে পেয়ে আপ্লুত দোকানদার ৷
উত্তরবঙ্গ সফরে এসে ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট জেলাগুলি নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক সেরে ফেলেছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ মঙ্গলবার কার্শিয়াং সার্কিট হাউসে রাত্রিবাস করেন তিনি ৷ বুধবার ঘুম থেকে ওঠেন সকাল সকাল ৷ অভ্যেস মতো শুরু করেন হাঁটা ৷ প্রায় ১০ কিলোমিটার উজিয়ে পৌঁছে যান মহানন্দা পর্যন্ত ৷ সঙ্গে ছিলেন পর্যটন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন ও বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ৷
পাহাড় বরাবরই প্রিয় মমতার ৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে অসংখ্যবার পাহাড় সফর করেছেন তিনি ৷ প্রত্যেকবারই পাহাড়ি মানুষের সঙ্গে একেবারে ঘরের লোকের মতো আড্ডা দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে ৷ এদিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি ৷ হাঁটাহাঁটির সময়েই মাঝমধ্যে থেমে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি ৷ পাহাড়ি পথের ধারে গুমটি দোকানের সামনে বসে চুমুক দেন চায়ে ৷ তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করেন ইন্দ্রনীলের গান ৷
চলতেই চলতেই মুখ্যমন্ত্রী ঢুকে পড়েন স্থানীয় একটি দোকানে ৷ সেখানে ছিল জুতোর পসার ৷ ৫০০ টাকা দিয়ে নাতনির জন্য একজোড়া জুতো ও একজোড়া চটি কেনেন তিনি ৷ দোকানের মালকিনের কাছে তাঁর বোনা সোয়েটারও দেখেন ৷ তাঁর কাছে মমতার আবদার, একটা হালকা সোয়েটার বানিয়ে দিতে হবে ৷ মুখ্যমন্ত্রীর এমন অমায়িক আচরণে আপ্লুত দোকানের মালকিন মিনতি প্রধান ৷ তিনি বলেন, ‘‘এত দূর থেকে এসে, আমাদের মতো এত ছোট দোকান থেকে মুখ্যমন্ত্রী জিনিস কিনলেন ৷ আমার ভীষণ ভালো লেগেছে ৷ আমাকে হালকা সোয়েটার তৈরি করে দিতে বলেছেন ৷ আমি বলেছি, বানিয়ে দেব ৷ ওঁকে আবার আমার দোকানে আসতে বলেছি ৷’’ কেনাকাটা সেরে, চা পানের পর্ব মিটতেই আবারও হেঁটে সার্কিট হাউস ফিরে যান মুখ্যমন্ত্রী ৷
Be the first to comment