সোমবার চারদিনের পাহাড় সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বেলা আড়াইটে নাগাদ বিশেষ বিমানে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে পৌঁছে যাবেন শৈল শহর দার্জিলিংয়ে। থাকবেন দার্জিলিংয়ের রিচমন্ড হিলে। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাঁর দার্জিলিংয়ে থাকার কথা রয়েছে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার পাহাড়ে জিটিএ-র শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। সেখানেই তাঁর উপস্থিত থাকার কথা।
দার্জিলিংয় ম্যালে জিটিএ-র শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের জন্য চূড়ান্ত পর্বে প্রস্তুতি। বুধবার নেপালী কবি আচার্য ভানু ভক্তের জন্মজয়ন্তী। ম্যালের চৌরাস্তায় জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর থাকার কথা রয়েছে। এছাড়াও বুধ ও বৃহস্পতিবার প্রশাসনিক বৈঠক করবেন তিনি। এই বৈঠকে পাহাড়ের সামগ্রিক পরিস্থিতির উপর পর্যালোচনা করবেন বলে সূত্রের খবর।
১২ই জুলাই মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই দার্জিলিংয়ের ম্যালের চৌরাস্তায় জিটিএ-র নবনির্বাচিত ৪৫ জন সদস্য শপথ নেবেন। অনিত থাপা দুদিন আগেই কলকাতায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে রোহিনী হয়ে কার্শিয়াং পর্যন্ত রাস্তার দুই ধারে পাহাড়বাসী পুষ্পবৃষ্টি ও খাদা পরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন। এরপরে কার্শিয়াং থেকে দার্জিলিং যাওয়ার পথেও পাহাড়বাসী মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানানোর জন্য তৈরি। গোটা রাস্তার দুধারে লাগানো হয়েছে অসংখ্য ফ্লেক্স-ব্যানার। সদ্য নির্বাচিত শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের জয়ী প্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করার সম্ভাবনা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। এই পাহাড় সফর রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।
পাহাড়ে জিটিএতে এককভাবে সংখা গরিষ্ঠতা পেয়েছে তৃণমূলের শরিক দল অনিত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতন্ত্র মোর্চা। এক্ষেত্রে আগামী দিনের পাহাড়ের ভবিষ্যৎ কী, পাহাড়ে তৃণমূল কীভাবে চলবে, সবকিছু নির্ভর করছে মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরের উপর। সমগ্র পাহাড়বাসী তাকিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরের দিকে।
Be the first to comment