‘আমি নমাজ পড়ি না, ইফতারে গেলে আপত্তি কোথায়?’, বিজেপিকে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর

Spread the love

সংখ্যালঘুদের তোষণ করেন, আইনভঙ্গকারীদের ধর্ম দেখে শাস্তি নিরূপণ করেন। তাঁর রাজ্যে হিন্দুদের সুরক্ষা বারবার বিঘ্নিত হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শাসিত বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে এমনই হাজারও অভিযোগ তোলে বিজেপি। মাঝেমধ্যে তার জবাবও দেয় তৃণমূল। তবে এবার দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের লাইট অ্যান্ড সাউন্ডের উদ্বোধন করে মোক্ষম জবাব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হিন্দু ধর্মকে উগ্ররূপে প্রকাশ করা বিজেপিকে বিঁধে বললেন, অনেকে বলে আমি নাকি নমাজ পড়ি। আমি নমাজ পড়ি না। ইফতারে যাই। রোজা অর্থাৎ দিনভর উপবাসের পর তা ভাঙার সময়ে ওদের সঙ্গে আমি থাকি। এটা তো সর্বধর্ম সমন্বয়। এটা ধর্মীয় রীতি নয়। যে কোনও ধর্মের মানুষই এতে অংশ নিতে পারেন।

রাজ্যের বিভিন্ন হিন্দু তীর্থক্ষেত্র সংস্কারের কাজে হাত লাগিয়েছে রাজ্য সরকার। তারই মধ্যে একটি দক্ষিণেশ্বর। এখানে স্কাইওয়াক তৈরির পর এবার চালু হল লাইট অ্যান্ড সাউন্ড প্রকল্প। অডিও-ভিজুয়াল মাধ্যমে দক্ষিণেশ্বরের ইতিহাস তুলে ধরা হবে দর্শকদের সামনে। দেশের বিভিন্ন বিখ্যাত তীর্থক্ষেত্রগুলিতে এ ধরনের লাইট অ্যান্ড সাউন্ডে ইতিহাস জানানোর রীতি আছে। বাংলাও পিছিয়ে নেই। আর দক্ষিণেশ্বরের মতো আন্তর্জাতিক স্থানে এই মাধ্যম চালু করে তার কৌলিন্যই আরও বাড়ানো হল বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী।

হিন্দু ধর্ম নিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব বারবারই এ রাজ্যের শাসকদলকে আক্রমণ করেছে। এদিন তাদের পালটা দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”হিন্দু, মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান কেউই অশান্তি করে না। যারা এসব করে, তাদের মাথায় জঞ্জাল ভরতি। হিন্দু ধর্ম তো অনেক উদার। কিন্তু তার নামে রাজনীতি চলছে। আমি ছোটবেলা থেকে মা-বাবার কাছে এই দক্ষিণেশ্বরের কথা, ইতিহাস এসব শুনে আসছি। আমি সর্বধর্ম সমন্বয়ে বিশ্বাসী। সব ধর্মকে সম্মান করি। আমি ইফতারে গেলে সমালোচনা হয়। কিন্তু যখন মন্দিরের কাজের জন্য টাকা  দিই, তখন তো প্রশ্ন ওঠে না।”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*