সিবিআই যুযু দেখিয়ে বারবার বিরোধীদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তদন্তের জন্য ডেকে পাঠানো হচ্ছে টোটোচালক থেকে, চিকিৎসক, সাংবাদিকদের! হেনস্তা করা হচ্ছে। এমন অভিযোগ তুলে দুর্গাপুরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে নাম না করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ফের ক্ষোভ উগড়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন প্রশাসনিক সভায় তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, এখানে সিবিআইয়ের কেস চলছে তোমরা জানো। বীরভূমের গরিব ঘরের টোটোচালককেও ডেকেছে ওরা। আবার ডক্টর অভিজিৎ চৌধুরীকেও ডাকা হয়েছে। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য-বিধায়কদের ডেকে ডেকে হেনস্তা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও বিরোধীদের কাজে বাধা দিতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে কাজে লাগাচ্ছে মোদি সরকার, এমন অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। এবারও তাঁর গলায় শোনা গেল একই সুর। তবে এসব উপেক্ষা করেই কাজ চালিয়ে যাওয়ার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিএলআরও অফিসগুলিকে আরও অ্যাকটিভ হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। সেই সঙ্গে কৃষকদের যাতে কোনওরকম সমস্যা না হয়, সেই বিষয়টিও জেলা প্রশাসনকে সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দেন তিনি।
মমতা বলে দেন, কৃষকরা যাতে ধান বিক্রি করে সঠিক মূল্য পায়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। এরপরই ঠিকাশ্রমিকদের পে স্লিপ দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। বলেন, “আশি-নব্বই শতাংশ শ্রমিকই পে-স্লিপ পায় না। তাই বুঝতে পারে না, কোথায় কত টাকা কাটা হল।” সামান্য বিরক্তি প্রকাশ করে যেন জানিয়ে দেন, কারা এমনটা করছেন, তা তাঁর জানা। বলেন, “আমি তাদের নামও জানি। আমি কিন্তু এটা কন্টিনিউ করতে দেব না। সমস্ত ঠিকাশ্রমিকদের পে স্লিপ দিতে হবে।” পাশাপাশি বালির লড়ির জন্য টোল ট্যাক্সে ই-টেন্ডার বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাবও দিয়েছেন তিনি।
এদিকে, গ্রামীণ রাস্তা, ১০০ দিনের কাজ, ‘বাংলার বাড়ি’, কোনও প্রকল্পেরই টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র বলেও তোপ দাগেন তিনি। রাজ্যবাসীকে প্রাপ্য পাইয়ে দিতে দিল্লি যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
Be the first to comment