তিনিই প্রথম সরব হয়েছিলেন। তথ্য তুলে বুঝিয়েছিলেন, কেন্দ্রের নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত আসলে ভাঁওতা। সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচারের নামান্তর। কিছু মানুষকে বেআইনি ভাবে সুবিধে করে দেওয়ার জন্য মোদি সরকারের চক্রান্ত। ৬ বছর পরে তৃণমূল নেত্রীর সেই কথায় সামনে আসছে বারবার। পুরুলিয়ার সভা থেকে সেই নোট বাতিল নিয়ে কেন্দ্রকে ফের একবার আক্রমণ করলেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, নোট বাতিল দেশের অন্যতম বড় দুর্নীতি। ৫০০ টাকার নোট ইতিমধ্যেই জাল হয়ে গিয়েছে। নোটবন্দির ভয়াবহ ফল ভুগতে হচ্ছে দেশের মানুষকে। এটা মোদি সরকারের এক বড় চক্রান্ত।
জাল নোট এবং কালো টাকার লেনদেন কমাতে রাতারাতি দেশে ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর রাতের সেই ঘটনায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছিলে দেশে। নোট বাতিলের কারণ হিসাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, কালো টাকা উদ্ধারের জন্যই এই পদক্ষেপ। যদিও নোটবন্দির পর প্রায় ৫ বছর কেটে গেলেও কালো টাকা উদ্ধার করতে পারেনি মোদি সরকার। উল্টে নোট বাতিলের পরেও দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে জাল নোটের সংখ্যা। জাল নোট ইস্যুতে রবিবারই প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২০-২১ আর্থিক বর্ষের তুলনায় ২০২১-২২’এ ৫০০ টাকার জাল নোট বেড়েছে ১০১.৯ শতাংশ এবং ২০০০ টাকার জাল নোট বেড়েছে ৫৪.৬ শতাংশ। শুধু ৫০০ আর ২ হাজার টাকার নোট নয়, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য বলছে, ২০০ টাকার জাল নোট বেড়েছে ১১.৭ শতাংশ, ২০ টাকার জাল নোট বেড়েছে ১৬.৫ শতাংশ এবং ১০ টাকার জাল নোটের সংখ্যা বেড়েছে ১৬.৪ শতাংশ। ২০১৬ সালে নোট বাতিলের আগে বাজারে নগদ ছিল ১৮ লক্ষ কোটির কাছাকাছি। এখন বাজারে নগদের পরিমাণ প্রায় ৩১ লক্ষ কোটি।
Be the first to comment