আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে মাথায় রেখে কোমর বাধতে শুরু করেছে তৃণমূল। সেই লক্ষ্যে শুক্রবার কালীঘাটে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক সারলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে দলের নীতি ঠিক করার পাশাপাশি এদিন সাংগঠনিক নেতৃত্বের দায়িত্বেও বদল আনা হল। একইসঙ্গে দলীয় নেতৃত্বকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হল, রাজ্যসরকারের উন্নয়নমুলক প্রকল্পগুলিকে মানুষের কাছে তুলে ধরার ও ব্যাপক জনসংযোগের। পাশাপাশি অনুব্রতহীন বীরভূম জেলার দায়িত্ব এদিন নিজের কাঁধে তুলে নেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এদিন একাধিক সাংগঠনিক জেলায় দায়িত্বে রদবদল করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রের জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকে নদিয়া, বর্ধমান ও দার্জিলিং জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অরূপ বিশ্বাসকে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও পশ্চিম বর্ধমানের দায়িত্বে মলয় ঘটক। দক্ষিণ দিনাজপুরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাপস রায়কে। দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের দায়িত্বে মানস ভুঁইয়া। ফিরহাদ হাকিম দেখবেন হাওড়া, হুগলি, উত্তর দিনাজপুর। আলিপুর দুয়ার ও জলপাইগুড়ি দেখবেন গোউতম দেব। বীরভূম দেখবেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর দিনাজপুর দেখবেন সাবিনা ইয়াসমিন ও সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। এছাড়া সাগরদিঘির ফলে ধাক্কা খাওয়ার পর তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের দায়িত্ব দেওয়া হল মোশারফ হোসেনকে। এই পদে আগে ছিলেন হাজী নুরুল। রাজ্যের শিক্ষা সেলের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে। এর পাশাপাশি তৃণমূল সূত্রের খবর, দলনেত্রী এদিন জানিয়ে দেন পঞ্চায়েত ভোটের আগে প্রতিটি জেলায় পৃথক পৃথক কমিটি গড়া হবে। নির্বাচনকে মাথায় রেখে এখন থেকেই জনসংযোগে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও তৃণমূল নেত্রী এদিন জানিয়ে দেন মাসে ৩ বার জেলা ভিত্তিক বৈঠক করবেন তিনি।
এর পাশাপাশি এদিন বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”দল দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচী নিয়ে আরও কাজ করবে৷ এটার গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে হবে। জনসংযোগ বাড়াতে হবে। নানাবিধ ১১ বছরের কর্মসূচি, সেগুলোকে প্রচারে বেশি করে আনা হবে। তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ী নিজেদের দর্শন অনুযায়ী চলবে।”.
Be the first to comment