সীমান্তে বিএসএফের ক্ষমতা বাড়ানো নিয়ে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সোমবার শিলিগুড়িতে প্রশাসনিক বৈঠকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মোতায়েন বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে মমতা অভিযোগ করেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে ৷ সীমান্ত থেকে 15 কিলোমিটার ভিতর পর্যন্ত বিএসএফের নিয়ন্ত্রণ থাকত ৷ তাদের ক্ষমতা বাড়ানোর পর এখন সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিএসএফের নিয়ন্ত্রণে থাকবে ৷ যা নিয়ে প্রবল আপত্তি তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারের পুলিশ প্রশাসনকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে নজরদারি বাড়ানো হয় ৷
মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, আগে বিএসএফ সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলিতে ঢুকে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখাত ৷ তাদের গতিবিধির পরিসর বাড়িয়ে দেওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন তিনি ৷ অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গের নদীগুলি থেকে অবৈধ বালি খাদান নিয়েও পুলিশকে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী ৷ এদিনের প্রশাসনিক বৈঠকে উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে কোনও ভেদাভেদ নেই বলে বারবার বলতে শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে ৷
প্রসঙ্গত, বর্তমানে উত্তরবঙ্গে বিজেপি যে শক্তিশালী তা সত্যি ৷ যেখানে বিজেপির নেতা, সাংসদ এবং বিধায়কদের বারবার বলতে শোনা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গকে অবহেলা করা হচ্ছে ৷ এ নিয়ে সেখানকার মানুষজনের মধ্যে ক্ষোভও তৈরি হয়েছে ৷ এদিনের প্রশাসনিক বৈঠকে সেই ক্ষোভকেই প্রশমিত করার চেষ্টা করলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷
পাশাপাশি বিজেপির দাবি যে মিথ্যা সেটাই প্রমাণের চেষ্টা করেন মমতা ৷ তিনি বলেন, ‘‘পাহাড়, সমুদ্র ও জঙ্গলে ঘেরা বাংলা ৷ আমরা সবাই যেন ভাল থাকতে পারি ৷ ঐক্যের মধ্যে দিয়ে ৷’’ এদিন ভেদাভেদের রাজনীতি করার অভিযোগে নাম না করেই বিজেপিকে একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ অভিযোগ করেন, দাঙ্গা লাগানোকে যারা উস্কানি দেয়, তাদের কমিউনাল নয়, ক্রিমিনাল বলা হয় ৷
পাশাপাশি কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়িতে বহুদিন থেকেই অবৈধভাবে বালি পাচারের অভিযোগ উঠছিল ৷ আর এইসব পাচার চক্রে প্রতিবারই নাম জড়িয়েছে রাজ্যের শাসকদলের ৷ যার ফলে ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছিল তৃণমূল তথা রাজ্য সরকারের ৷ তবে, এই ধরনের ঘটনায় কোনও রং না দেখে ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে এদিন নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
Be the first to comment