‘বাংলা আবাস যোজনা’র নাম বদলের জটিলতা নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী। বর্ধমানের নবাবহাটের গোদার মাঠের সভা থেকে কেন্দ্রকে চাঁচাছোলা ভাষায় ফের বিঁধলেন তিনি। একশো দিনের প্রকল্পের টাকা নিয়েও আরও একবার বঞ্চনার অভিযোগও তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
‘বাংলা আবাস যোজনা’র নাম থেকে ‘বাংলা’ কেটে ‘প্রধানমন্ত্রী’ বসাতে হবে। না হলে এই প্রকল্পে আর এক টাকাও দেওয়া হবে না রাজ্য সরকারকে। নবান্নকে চিঠি দিয়ে সেকথা আগেই জানায় কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। তা নিয়ে তুঙ্গে বিতর্ক। চাপানউতোরের মাঝে বর্ধমানের নবাবহাটের গোদার মাঠের সভা থেকে সুর চড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বাংলার বাড়ি, সড়ক যোজনায় টাকা আটকে রাখা হয়েছে। আমি সাংসদদের একটা প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিলাম। দেখি কী করছে। নইলে আমাকেও দিল্লি যেতে হতে পারে সমস্যা সমাধানের জন্য। যেকোনও রাজ্যের নামে বাড়ি থাকবে। গুজরাট, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশের নামে যদি থাকে। বাংলায় থাকলে কিসের আপত্তি?”
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বারবার বাংলা সফর নিয়ে তাঁর কটাক্ষ, “নির্বাচনের আগে বাংলায় এসে বড় বড় কথা বলবেন। দল ভাগাভাগি করবেন। তফশিলি, আদিবাসী ভাগাভাগি করবেন। শুধু ভাগাভাগি করবেন, দাঙ্গা করবেন। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করবেন। বিচ্ছেদের কথা বলবেন। আর বাংলার নাম বলতে গেলে কেন বাংলার নাম বলা হয়েছে? তাই বাংলার রাস্তা, বাড়ির টাকা দেওয়া হবে না। ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়া হবে না। বাংলার বাড়ি চলবে। বাংলার রাস্তা চলবে। একশো দিনের কাজ চলবে।”
একশো দিনের প্রকল্পে বঞ্চনার অভিযোগে আগে বারবার সুর চড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রকে আক্রমণ করে তাঁর তোপ, “বিজেপির লোকেরা ১০০ দিনের প্রকল্পে ৬ মাস ধরে টাকা দিচ্ছে না। কত কষ্ট করে ওরা কাজ করে। নিয়ম অনুযায়ী ১৫ দিনের মধ্যে টাকা দেওয়ার কথা। আমাদের এখান থেকে কেন্দ্র টাকা তুলে নিয়ে যায়। তার একাংশ আমরা পাই। আমরা অবিলম্বে ১০০ দিনে টাকা চাই। নইলে বিজেপি বিদায় নাও।”
Be the first to comment