বৃহস্পতিবার ২৬ মে ২০২২ ছিল রাজ্য মন্ত্রীসভার বৈঠক। বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু একটি উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি বলেন, সর্বসম্মতভাবে রাজ্য মন্ত্রীসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে রাজ্যপালের জায়গায় এবার থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। এর জন্য আইন সংশোধনও করতে হবে।
এদিন অপর একটি সিদ্ধান্তের কথাও জানান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন শিক্ষা ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সম্মান স্কচ অ্যাওয়ার্ড এবার পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। মুখ্যমন্ত্রীর শিক্ষাক্ষেত্রে যুগান্তকারী কিছু ভূমিকার জন্য এই সম্মান প্রাপ্তি বলে জানান ব্রাত্যবাবু।
শুধু বঙ্গেই নয়, দক্ষিণ ভারতের একাধিক অবিজেপি রাজ্য়ে এই মর্মে আইন সংশোধনের প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। কেরল, তামিলনাড়়ুর কলেজগুলিতে আচার্য পদে রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আনার পক্ষে দু’রাজ্যের প্রশাসন। কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য দেশের প্রধানমন্ত্রী। আর রাজ্য়ের ক্ষেত্রে এই পদে সাধারণত রাজ্যপালকেই বসানো হয়। তবে এবার তামিলনাড়ু, কেরলের সঙ্গে একই পথে হাঁটল বাংলার প্রশাসনও।
বৃহস্পতিবার নবান্নে ছিল রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক। এই বৈঠক থেকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে আগাম ইঙ্গিত ছিলই। বিকেল হতেই তা প্রকাশ্যে এল। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানালেন, রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য এখন রাজ্যপাল। কিন্তু এই সংক্রান্ত আইন সংশোধন করা হবে। আর তাতে আচার্য হবেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য মন্ত্রিসভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো হয়েছে। দ্রুতই আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে। বিধানসভায় বিশেষ প্রস্তাব পাঠানো হবে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, রাজ্যপাল সব বিষয়ে রাজ্য সরকারের বিরোধিতা করে থাকেন, সহযোগিতা পাওয়া যায় না। প্রয়োজনীয় বিলে সই করতে কিংবা শিক্ষাক্ষেত্রে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ায় পদে পদে অসৌজন্য ও অসহযোগিতা দেখান। গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে অকারণ বিলম্ব হয়। সেই কারণে আমরা এত দ্রুত এই আইনি প্রক্রিয়া কার্যকর করতে চাই।
মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তৃণমূলের মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, বাংলার রাজ্যপাল আসলে বিজেপির লোক। উনি রাজ্যের সঙ্গে কোনও সহযোগিতা করেন না। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে থাকলেও কোনও প্রয়োজনীয় কাজ করেন না। মুখ্যমন্ত্রী সেই পদে আসুন, যথেষ্ট ভাল কাজ হবে।
Be the first to comment