মাধ্যমিকে কৃতী ছাত্রছাত্রীদের অভিনন্দন জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পরই টুইট করে সফল ও কৃতীদের শুভেচ্ছা জানান তিনি। টুইটে মমতা লেখেন, মাধ্যমিক পরীক্ষায় কৃতকার্য ও মেধাতালিকায় স্থান পাওয়া সকল পড়ুয়াদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই। আমাদের জেলার ছাত্র ও ছাত্রীরা অসাধারণ ফল করেছে। শহরের ছেলেমেয়েরাও আমাদের গর্বিত করেছে।
একইসঙ্গে পড়ুয়াদের এই অসামান্য কৃতিত্বের জন্য মুখ্যমন্ত্রী ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবক, শিক্ষক ও স্কুলগুলিকেও অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান। টুইটে মমতা আরও লিখেছেন, পরীক্ষার পর খুব তাড়াতাড়ি ফল প্রকাশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে ২০২৩-এর মাধ্যমিকের নির্ঘণ্টও প্রকাশ করা হয়েছে। এতে আগামী বছরে পরীক্ষার্থীদের সুবিধা হবে। যেসব পরীক্ষার্থী আশানুরূপ ফল করতে পারেনি, তাদের জন্য মমতা বলেছেন, ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হও। লড়াই করলে নিশ্চই ভালো ফল হবে আগামিদিনে।
শুক্রবার সকালে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলপ্রকাশ করেন। চলতি বছর পাশের হারের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা (৯৭.৬৩ শতাংশ)। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে কালিম্পং ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা।
এ বছর মোট পাশের হার ৮৬.৬০ শতাংশ। কোনও ফলাফল অসম্পূর্ণ নেই। পরীক্ষা দিয়েছে মোট ১০.৯৮ লক্ষ পড়ুয়া। প্রথম হয়েছে দু’জন। বাঁকুড়ার রামহরিপুর রামকৃষ্ণ মিশন হাইস্কুলের অর্ণব গড়াই এবং বর্ধমান সিএমএস স্কুলের রৌনক মণ্ডল। দু’জনের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩ (৯৯ শতাংশ)। ৬৯২ নম্বর পেয়ে যুগ্ম দ্বিতীয় হয়েছেন মালদহের কৌশিকী সরকার এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের রৌনক মণ্ডল। ৬৯১ নম্বর পেয়ে যুগ্ম তৃতীয় হয়েছেন পশ্চিম বর্ধমানের অনন্যা দাশগুপ্ত এবং পূর্ব মেদিনীপুরের দেবশিখা প্রধান। চতুর্থ হয়েছেন চার জন। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯০।
Be the first to comment