লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে পাঁচ দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সোমবার ছিল কোচবিহারের সভা। সকালেই এই দিনটি রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ করে তোলেন জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ-সহ গোটা দেশে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) কার্যকর হবে বলে ‘গ্যারান্টি’ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। রবিবারই এই প্রতিশ্রুতি দেন শান্তনু, আর ঠিক তার পর দিনই মুখ খুললেন মুখ্য়মন্ত্রী। সোমবার সকালেই অবশ্য এই নিয়ে স্পষ্ট উত্তর দিয়েছেন শশী পাঁজা।
আর মুখ্যমন্ত্রী পরের দিনই বললেন, “বিএসএফের অত্যাচারে মানুষ তটস্থ। BSF সীমান্তে আলাদা আইডেনটিটি কার্ড দিতে চায়।” মুখ্যমন্ত্রীর সতর্কবার্তা, ” আমি বলে দিচ্ছি, নেবেন না সেই কার্ড। বলবেন আমাদের আধার কার্ড রয়েছে, রেশন কার্ড রয়েছে। ওই কার্ড যদি নেন, তাহলে NRC তে পড়ে যাবেন। সব থেকে বাদ চলে যাবেন। কোনও সরকারি সুবিধা পাবেন না কিন্তু। বিপদে পড়লে আমি আছি। বাঘের বাচ্চার মতো আছি আপনাদের সঙ্গে।”
তৃণমূল নেতৃত্ব বরাবরই সিএএ প্রসঙ্গে দাবি করে আসছেন, যে নাগরিকেরা ভোট দেন, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড আছে, তাঁরাই এ দেশের নাগরিক। শান্তনু ‘CAA গ্যারেন্টি’র পাল্টা দিতে সকালেই রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, “নির্বাচন এলেই বিজেপি নেতারা সিএএ নিয়ে যে ধুয়ো তোলেন, তা আর চলবে না।” যাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, তাঁরা ইতিমধ্যেই দেশের নাগরিক বলে আরও একবার জানিয়ে দেন শশী। আর সেই প্রসঙ্গ টেনেই মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিলেন NRC নিয়ে তাঁর অবস্থান।
Be the first to comment