গোয়া যাওয়া নিয়ে টুইট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সূত্র অনুযায়ী, ২৪ অক্টোবর অর্থাৎ রবিবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামবেন দলনেত্রী ৷ এরপর পাহাড় সফরে যাবেন ৷ তারপর ফিরে এসে যাবেন গোয়ায় ৷ আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসে গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচন ৷ ইতিমধ্যে সেখানে পার্টি অফিস খুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷
টুইটে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো লিখেছেন, “২৮ অক্টোবর প্রথমবার গোয়া সফরের জন্য তৈরি হচ্ছি ৷ বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে আমি সব সংগঠন, রাজনৈতিক দলকে একজোট হওয়ার ডাক দিয়েছি ৷ বিগত ১০ বছরে গোয়ার মানুষ যথেষ্ট দুর্ভোগ পেয়েছে ৷ আমরা নতুন সরকার গঠনের মাধ্যমে গোয়ায় নতুন ভোরের সূচনা করব ৷ যে সরকার সত্যিই গোয়ার মানুষের সরকার হবে এবং মানুষের আশা পূরণে দায়বদ্ধ থাকবে ৷” এই টুইটে তিনি হ্যাশট্যাগ দিয়েছেন #GoenchiNaviSakal ৷
২৯ সেপ্টেম্বর গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফালেইরো তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন ৷ তিনি গোয়া কংগ্রেসের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত ছিলেন ৷ দু’বার মুখ্যমন্ত্রীও হয়েছেন ৷ ঘাসফুল শিবিরে যোগদানের আগে নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন লুইজিনহো ৷ তারপর তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন ৷
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আরও বেশ কিছু নেতা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে আগ্রহী। ইতিমধ্যে গোয়ার বিভিন্ন স্তরের মানুষ, বুদ্ধিজীবী, ক্রীড়াপ্রেমী এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগযোগ শুরু করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। ঘাসফুলের লক্ষ্য যেকোনওভাবে বিজেপিকে পরাস্ত করে গোয়ায় সরকার গড়া।
প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা নির্বাচনে গোয়ায় একটা বড় অংশের মানুষের জনমত বিজেপির বিরুদ্ধে গিয়েছিল। এই অবস্থাতেও কংগ্রেস সেখানে সরকার গড়তে পারেনি। কংগ্রেসের ঘর ভাঙিয়ে সেখানে সরকার গড়েছিল বিজেপি। তাই এবার ফাঁকা মাঠে আগেভাগে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর সে কারণেই রাজ্যের উপনির্বাচন, অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডের মাঝেই গোয়া ছুটছেন মমতা।
Be the first to comment