মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তায় বিশেষ নজর। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের নিরাপত্তায় কোনও খামতি না রাখতে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাসিন্দাদের বিশেষ পরিচয়পত্র চালু করার সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুলিস। ইতিমধ্যেই স্থানীয় বাসিন্দাদের নাম ঠিকানা ও গাড়ির নম্বর সংগ্রহ করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে পুলিস। এবার থেকে এই নতুন পরিচয় পত্র দেখালে তবেই হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে ঢোকার অনুমতি মিলবে।
২ জুলাই, শনিবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির ভেতর প্রবেশ করেছিল এক সন্দেহভাজন। বাড়ির পাঁচিল টপকে অন্দরে ঢুকে পড়ে ওই ব্যক্তি। ঘটনার পরই কলকাতার নগরপাল-সহ একাধিক উচ্চপদস্থ কর্তারা পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে। খতিয়ে দেখেন ঘটনাস্থল। পুলিস কুকুর দিয়ে তদন্ত করা হয়। ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হয় বম্ব স্কোয়াড। অভিযুক্তকে আটক করে করে কলকাতা পুলিস। তাকে তুলে দেওয়া হয় কালীঘাট থানার হাতে।
এই ঘটনায় মুখ পুড়েছিল রাজ্য পুলিসের৷ রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে জেড ক্যাটাগরির সুরক্ষা পান তিনি। এই কড়া সুরক্ষা এড়িয়ে কীভাবে ওই সন্দেহভাজন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকে পড়ে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এই নিয়ে কটাক্ষ করেন বিরোধীরা। এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা কেমন তা নিয়ে রাজ্য পুলিসের কাছে রিপোর্ট চেয়েছিলেন স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী৷
এরপর একধাক্কায় ১৫ জন আইপিএস পদমর্যাদার পুলিসকর্তাদের রদবদল ঘটায় রাজ্যে৷ শুধু কলকাতা পুলিস নয়, ব্যারাকপুর কমিশনারেট থেকে শুরু করে রদবদলের আঁচ গিয়ে পড়ে জলপাইগুড়িতেও৷ আইপিএস বিবেক সহায় যিনি এতদিন ডিজিপি পদমর্যাদার ডিরেক্টর সিকিউরিটি পদে ছিলেন তাঁকে পশ্চিমবঙ্গের ডিজিপি প্রভিশনিংয়ে নিয়ে আসা হল৷ একইসঙ্গে এডিজি আইজিপি পদে থাকা পীযূষ পাণ্ডেকে ডিরেক্টর সিকিউরিটি পদে নিয়ে যাওয়া হয়। নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করার পর ডিরেক্টর সিকিউরিটি পীযূষ পাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার বিষয়ে আমুল পরিবর্তন নিয়ে আসেন।
Be the first to comment