তিনি এলেন। দেখলেন। জয় করলেন। হাসিমারায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতি যেন এভাবেই বর্ণনা করা যায়। আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে কোমর দোলালেন। হাতে হাত ধরে ধামসার তালে তালে পা মেলালেন। তখন তিনি রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান নন। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেত্রী নন। তিনি দেশের অন্যতম সেরা রাজনৈতিক ব্যক্তি নন। মমতা তখন শুধুই তোমাদের লোক।
মানুষের সঙ্গে-মানুষের ভিড়ে মিশে থাকতে বরাবরই স্বচ্ছন্দ মমতা।মানুষের কথা বলে, তাঁদের পাশে থেকে সকলের উন্নয়নের ‘দিদি’ হয়ে উঠেছেন তিনি। বুধবার হাসিমারায় আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে যেভাবে তাঁদের পোশাকে কোমর দোলালেন তাতেও সেই দিদিরই এক রূপ।
পরে মঞ্চে উঠে মুখ্যমন্ত্রী বললেন আদিবাসীদের জন্য অনেক কিছু করেছি। কলকাতায় যাতে তাঁরা এসে থাকতে পারে তার জন্য আদিবাসী ভবন করা হয়েছে। শ্রমিকদের মজুরি বেড়েছে। আগে ছিল দৈনিক ৬৭ টাকা। সেখানে বেড়ে হয়েছে ২০২ টাকা। আদিবাসী সম্প্রদায়ের উন্নয়নের জন্য ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে স্কুল। আগামীদিনে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজনকে মূল স্রোতে আনার লক্ষ্য যে রাজ্য সরকারের রয়েছে সে কথাও বুঝিয়ে দিলেন মমতা। তাঁর আশা আগামীতে অলিম্পিকে পদক আনবে আদিবাসী পরিবারের ছেলেমেয়েরা।
Be the first to comment