চন্দ্রযান তিনের সাফল্যকে সামনে রেখে এবার ইসরোর বিজ্ঞানীদের সংবর্ধনা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই অভিযানের সাফল্যের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ সহ সকলকে চিঠি পাঠিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সোমবার বিধানসভায় এক ঘরোয়া আলাপচারিতার ফাঁকে মুখ্যমন্ত্রী জানান চন্দ্রাভিযানের সঙ্গে যুক্ত রাজ্যের ২৮ জন বিজ্ঞানী সহ অন্যান্যদের সম্বর্ধনা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এজন্য খুব শীঘ্রই ইসরো চেয়ারম্যানকে আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি পাঠানো হবে। রাজ্যের কৃতি সন্তানদের প্রত্যেককে বিশেষ ভাবে আমন্ত্রণ জানানো হবে। তাঁরা রাজি থাকলে রেড রোডে বড় মাপের নাগরিক সম্বর্ধনা সভার আয়োজন করা হবে।
শুরুতে বাঙালি কৃতীদের সংবর্ধনা দিয়ে সম্মানিত করতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এবার তাঁদের পাশাপাশি চন্দ্রযান-৩-এর সমস্ত টিমকেই সম্মান জানাতে চেয়েছেন তিনি। যদিও ইসরো প্রস্তাব গ্রহণ করার পরই পরবর্তী দিনক্ষণ ঠিক করা হবে। রেড রোডে যেভাবে দুর্গাপুজোর কার্নিভাল হয়, তেমনই রাজকীয় ভাবে এই সম্মান জানাতে চান মুখ্যমন্ত্রী। এদিন অবশ্য তৃণমূল ছাত্রপরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকে এবিষয়ে বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “ইসরোর চন্দ্রযান-৩-এ যাঁরা কাজ করেছেন, বাংলা থেকেই তার মধ্যে ২৮ জন আছেন বিজ্ঞানী এবং টেকনিশিয়ান। আমি নিজে তাঁদের পার্সোনালি লেটার দিয়েছি। তাঁরা যদি আমায় সময় দেন, আমি তাদের সবাইকে নিয়ে এসে এখানে রাজপথে বিরাট অনুষ্ঠান করে তাদের সংবর্ধিত করতে চাই। এটা দেশের কৃতিত্ব।”
তবে চন্দ্রযান ৩-এর লাইভ অনুষ্ঠানে মোদির ভাষণকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “টিভির সামনে বসে ছিলাম। ল্যান্ডিংটা তো দেখতেই পেলাম না। সফ্ট ল্যান্ডিং হল না রাফ, বোঝা গেল না। অবতরণের সঙ্গে সঙ্গে অন্য এক জনের ভাষণ শুরু হয়ে গেল। এরপর আমি টিভি বন্ধ করে দিলাম।” তিনি আরও বলেন, “এর আগেও মহাকাশ অভিযান হয়েছে। ইন্দিরা গান্ধীর সময়েও হয়েছিল। এটা নতুন কিছু নয়। আমাদের ছেলেমেয়েরা দক্ষ। আমেরিকা, ব্রিটেন সব জায়গায় তারা কাজ করছে।”
Be the first to comment