কাজে বেরিয়ে একেবারে বেঘোরে প্রাণ গিয়েছে হাওড়ার দাশনগরের যুবতী রিমা সিংয়ের। মেয়ে যে আর নেই, তা এখনও যেন বিশ্বাস হচ্ছে না মা মীরার। শোকে মুহ্যমান তিনি। এমন পরিস্থিতিতে মেয়েহারা পরিবারটির পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার দুপুরে সিং পরিবারে ফোন করেন তিনি। কথা বলেন নিহত তরুণীর মা মীরা সিংয়ের সঙ্গে। এদিন তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে রিমার বাড়িতে গিয়েছিলেন হাওড়ার তৃণমূল নেতা অরূপ রায়। তাঁর সামনেই মুখ্যমন্ত্রী কথা বলেন মীরাদেবীর সঙ্গে। তাঁর ছেলেকে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
শুক্রবার দুপুরে পার্কসার্কাস এলাকায় গুলি চলে। অ্যাপ বাইকে যাওয়া এক তরুণীর দিকে গুলি ছুঁড়ে আত্মঘাতী হন কলকাতা পুলিশের কর্মী চোডুপ লেপচা। গুলিতে নিহত হন বছর পঁচিশের তরুণী রিমা সিং। তিনি হাওড়ার দাশনগরের বাসিন্দা। পার্কসার্কাসে কাজে যাচ্ছিলেন। সেখানেই ঘটে গেল প্রাণঘাতী ঘটনা। এই খবর বাড়িতে পৌঁছলে কেউই প্রথম বিশ্বাস করতে পারেননি। কলকাতা পুলিশের ওই কর্মীর এহেন উশৃঙ্খল কাজ নিয়েও বহু প্রশ্ন উঠে যায়। পুলিশ কমিশনার নিজে ঘটনার তদন্ত শুরুর পাশাপাশি চোড়ুপ লেপচার কাণ্ডজ্ঞানহীন কাজ নিয়ে সাফাই দেন।
আকস্মিক ও মর্মান্তিক ঘটনায় এক তরুণীর প্রাণ যাওয়ার মতো ঘটনার গুরুত্ব বুঝে মুখ্যমন্ত্রী নিজে পদক্ষেপ নেন। তিনি শনিবার নিজেই ফোন করে নিহত রিমার মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁর শোকে নিজেকে শামিল করেন। জানান, যা ঘটেছে, তা অত্যন্ত মর্মান্তিক। পরিবারের সকলের মানসিক পরিস্থিতি, যন্ত্রণা অনুভব করতে পারছেন। এরপরই তিনি ঘোষণা করেন, পরিবারের ছেলেকে হোম গার্ড পদে চাকরি দেওয়া হবে।
এদিনই রিমা সিংয়ের বাড়িতে যান হাওড়ার তৃণমূল নেতা অরূপ রায়। সঙ্গে ছিলেন কলকাতা পুলিশের দুই আধিকারিক। তাঁরা ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে।
Be the first to comment