রাজ্যে পুরভোট বকেয়া প্রায় ২ বছর। তারই মধ্যে নবান্ন থেকে ফের একবার বিধানসভা উপনির্বাচন করানোর দাবিতে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, ভবানীপুরে বেশ কিছু ওয়ার্ডে কোনও করোনা রোগী নেই। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, ‘ভবানীপুর নিয়ে কলকাতা পুরসভার একটা রিপোর্ট দেখছিলাম। সেখানে অনেক ওয়ার্ডে কোনও করোনা রোগীই নেই।’
সঙ্গে মমতার দাবি, ‘আমরা ওদের বলেছিলাম, রাজ্যসভা তো বটেই, বিধানসভা ভোটের জন্যও আমরা তৈরি। উপনির্বাচন তো হবে একেকটা বিচ্ছিন্ন এলাকায়। তা ছাড়া গোটা রাজ্যেই করোনা এখন অনেকটা কমে এসেছে। বিজেপি সব কটা আসনে হারবে। তাই উপনির্বাচন করাতে চাইছে না।’
উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে হেরেও মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধি অনুসারে ৫ নভেম্বরের মধ্যে তাঁকে রাজ্যের যে কোনও একটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হতে হবে। নইলে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে তাঁকে। এই পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, সেখান থেকেই ভোটে লড়বেন তৃণমূলনেত্রী। এছাড়া আরও ৬টি কেন্দ্রে বকেয়া রয়েছে উপনির্বাচন।
তৃণমূলের আশঙ্কা সরকারকে বিপাকে ফেলতে উপ-নির্বাচন করাবে না বিজেপি। তাই আগেভাগেই তৎপর হয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। কিন্তু সেব্যাপারে এখনো কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি কমিশন। তবে বিজেপির দাবি, রাজ্যে ২ বছর ধরে বকেয়া পুরনির্বাচন। আগে পুর নির্বাচন করাক রাজ্য সরকার। তার পর বিধানসভা উপনির্বাচনের ভাবনা।
Be the first to comment