বুধবার ফের একবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করতে রাজভবনে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, রাজ্যপালের সঙ্গে কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে তিনি রাজভবনে এই সফর করছেন। প্রায় ২ ঘণ্টা একান্তে বৈঠক হয়। যদিও ঠিক কী নিয়ে রাজ্যের প্রশাসনিক এবং সাংবিধানিক প্রধানের আলোচনা হবে তা এখনও জানা যায়নি।
তবে সূত্রের খবর, রাজ্যে বিধান পরিষদ তৈরি করতে চেয়ে রাজ্য সরকার যেহেতু সক্রিয়তা দেখাচ্ছে, ফলে সেই বিষয় নিয়েই আলোচনা হতে পারে দু’জনের মধ্যে। বুধবার নবান্নে করোনা বিধি সম্পর্কিত একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে তিনি যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে বেরিয়ে সোজা রাজভবনের দিকে ঘুরে যায় তাঁর গাড়ির চাকা। তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর বুধবার রাজ্যপালের সঙ্গে প্রথম দীর্ঘতম বৈঠক করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’জনের মধ্যে প্রায় ২ ঘণ্টা কথা হয়েছে।
সূত্রের খবর, এ দিন পৌনে ৪ টে নাগাদ রাজভবনে ঢোকেন মমতা। সূত্রের খবর, ভোট পরবর্তী হিংসা প্রসঙ্গেও রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীর সামনে মুখ খুলতে পারেন। এ ছাড়াও বিধানসভায় মুকুল রায়কে পিএসি চেয়ারম্যান করার প্রতিবাদে মঙ্গলবারই রাজভবনে গিয়ে নালিশ জানিয়ে এসেছিলেন শুভেন্দু অধিকারীরা। সেই নিয়েও মমতা ধনখড়ের আলোচনার সম্ভাবনা থাকছে।
এমনিতে বিজেপির বিরোধিতা সত্ত্বেও এবারের অধিবেশনে বিধানসভায় ভোটাভুটির মাধ্যমে বিধান পরিষদ গঠনের প্রস্তাব পাশ হয়ে গিয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, বিধানসভায় পাশের পর বিধান পরিষদ গঠনের জন্য রাজ্যপালের অনুমোদন প্রয়োজন। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, সেই বিধান পরিষদ গঠনের প্রস্তাবেই দ্রুত ছাড়পত্র দেওয়া নিয়ে ধনখড়ের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে মমতা। এমনিতে ১৯৫২ সালের ৫ জুন ৫১জন সদস্যকে নিয়ে বাংলায় বিধান পরিষদ গঠিত হয়েছিল। তবে ১৯৬৯ সালের ২১শে মার্চ বিধান পরিষদকে অবলুপ্ত করে দেওয়া হয়।
Be the first to comment