বিজেপি দেশের দুঃশাসন, একজোট হয়ে লড়তে হবে: ধর্নামঞ্চে জোটবার্তা মমতার

Spread the love

কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনা, গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ সহ একাধিক অভিযোগ তুলে কলকাতার রেড রোডে আম্বেদকর মূর্তির নীচে ধর্নায় বসেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সেই মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কড়া ভাষায় বিজেপি সরকারকে আক্রমণ শানালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি আগামী ২৪-এর নির্বাচনে বিজেপিকে দিল্লির মসনদ থেকে হঠাতে একজোট হয়ে লড়ার বার্তা দিলেন দলনেত্রী।

এদিন ধর্নামঞ্চ থেকে বিজেপি-কে নিশানা করে মমতা বললেন, “১৭টি দল নিয়ে এনডিএ ছিল। আজ ১৬টা দল বেরিয়ে গেছে। ওরা একা কী করবে?” পাশাপাশি তিনি বলেন, “আমি সব বিরোধীদলকে একসঙ্গে লড়তে বলছি। বিজেপি-কে কুর্সি থেকে সরাতে হবে। বিজেপি দেশের দুঃশাসন। দেশের দুর্যোধন, দুঃশাসনকে হঠান, দেশকে বাঁচান।” এছাড়াও উত্তরপ্রদেশের রাজনীতির প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূল নেত্রী বলেন, “উত্তরপ্রদেশে যোগীবাবুর সঙ্গে কারও কারও সঙ্গে সম্পর্ক ভাল নয় শুনেছি। আমরা উত্তরপ্রদেশে খেলতে যাবো। অখিলেশদের সঙ্গে একসঙ্গে খেলবো। ওরা(বিজেপি) চায়, ভোটের আগে ইডি, সিবিআই দিয়ে সবাইকে জেলে ভরে দেওয়া। এখন আমাদের বাড়ির মেয়েদেরও ডেকে পাঠাচ্ছে। সবাইকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে রেখে দিচ্ছে। জানে না, দিল্লি যখন টলমল হবে, সেই ঝড়ে উড়ে যাবে।”

একইসঙ্গে এদিন মোদি সরকারকে তোপ দেগে মমতা বলেন, “আমাকে ওরা সংবিধান নিয়ে জ্ঞান দিচ্ছে। আমি একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পদ সামলেছি, রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভাষণ দিয়ে এসেছি। শুনে রাখবেন, আমি তো এর আগেও ধর্নায় বসেছিলাম। রাজীব কুমারকে যখন গ্রেফতার করা হচ্ছিল। কথায় কথায় ডাবল ইঞ্জিন গভর্নমেন্ট বলো। আমি জনগণের দ্বারা নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী। আমার দিন আনা দিন খাটা মানুষগুলো খেতে পাচ্ছে না। তাঁদের টাকা আটকে দেওয়া হয়েছে। তার জন্য একশোবার বসব ধর্নায় বসব। আমি শুনেছি, একাধিক চ্যানেলকে বলা হয়েছে, মমতাজির ধর্না দেখাবে না। আমি বলি, বিজেপি, মমতার ধর্না দেখাতে হবে না। দরকার পড়লে, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনেও বসে যেতে পারি ধর্নায়। এই হিম্মত আমার আছে।”

জাতীয় রাজনীতির পাশাপাশি এদিন বামেদের তোপ দেগে মমতা বলেন, “সিপিএমের মুখপত্রে যাঁরা চাকরি করে তাঁদের স্ত্রীরা সব শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছেন। কী করে? খুলব খাতাটা? একজন বাবু আছেন সিপিএমের রোজ কুৎসা করে বেড়ায় তাঁর বউ চিরকুটে ঢুকেছিল। তিনশো টাকায় ঢুকেছিল এখন প্রচুর টাকা পেনশন পায়। পেনশন নিয়ে একটু নাড়াচাড়া করি? কেউ ৫০ হাজার, কেউ ৬০ হাজার টাকা পেনশন পায়। পেনশনের খাতাটা খুলবো? ওই যে এক নেতার স্ত্রী, চিরকুটে ঢুকেছিল। মোটা টাকা পেনশন পায়। আর ওদিকে একটা গোখরো, একটা কেউটে আছে। কোটি কোটি টাকা পকেটে দিচ্ছে, আর বলছে, যাও বিজেপিতে গিয়ে যোগ দাও। আমি তো তদন্ত করব, কোন খাতা, কার খাতে, কত টাকা গেছে।”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*