‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পে কল্পতরু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মানুষের সুবিধার্থে কোভিড পরিস্থিতিতে বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গে দুয়ারে রেশন প্রকল্পে ৪২ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানেরও পরিকল্পনা পেশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে বিরোধীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষ, শুধু বাংলাকে নিয়ে সমালোচনা করলেই হবে? উত্তরপ্রদেশকেও দেখুন। আজ বাংলাই মডেল। বাংলায় আমরা যেসব প্রকল্প শুরু করেছিলাম অন্য রাজ্যের সরকারও বাংলার দেখে সেই প্রকল্প শুরু করছে। গোয়া ও ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার ইতিমধ্যেই বাংলার প্রকল্পের অনুকরণে প্রকল্প শুরু করেছে।
মঙ্গলবার দুয়ারে রেশন প্রকল্প ঘোষণা সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছনোর জন্য প্রত্যেক রেশন ডিলাররা ২ জন কর্মী নিয়োগ করতে পারবেন। এতে প্রায় ৪২ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এই কর্মীদের বেতন হবে ১০ হাজার টাকা। এই বেতনের অর্ধেক দেবে রাজ্য, বাকি অর্ধেক দেবেন রেশন ডিলাররা।’
মঙ্গলবার নেতাজি ইন্ডোরে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পের সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। একের পর এক উল্লেখযোগ্য ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুয়ারে রেশন সরবরাহ পরিকল্পনা প্রসঙ্গেই তিনি জানান, বাড়ি বাড়ি ২৫ কেজি করে রেশন পৌঁছে দিতে দরকার লোকবল। একইসঙ্গে রেশন সরবরাহে ২১ হাজার গাড়ি লাগবে বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর জন্য ডিলারদের ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারে উৎসাহ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, নিজের গাড়িতে রেশন পৌঁছে দিলে ডিলারকে ১ লাখ টাকা দেবে রাজ্য। অর্থাৎ দুয়ারে রেশনের ডিলারশিপ নিয়ে নিজস্ব গাড়ি ব্যবহার করলে সরকারের থেকে ভর্তুকি হিসেবে টাকা পাবেন ডিলাররা।
মুখ্যমন্ত্রীর পেশ করা পরিকল্পনা অনুযায়ী, পাড়ায় পাড়ায় প্রতিটি লেনে পৌঁছে যাবে রেশনের গাড়ি। প্রতি ৫০০ মিটারে থাকবে একটি করে গাড়ি। সেখান থেকে রেশন সাধারণ মানুষের হাতে তুলে দিতে দুজন করে কর্মী নিয়োগ করতে পারে ডিলাররা। কোনদিন কোন এলাকায় রেশন দেওয়া হবে তা এসএমএস করে জানিয়ে দেবেন ডিলাররা।
Be the first to comment