বিভেদ বরদাস্ত নয়: দুবরাজপুরে ফোনে ভাষণ থেকে ‘ঘরে-বাইরে’ ঐক্যের বার্তা তৃণমূল সভানেত্রীর

Spread the love

অনুব্রতহীন বীরভূমে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারসভায় ফোনের ভাষণে ঐক্যের বার্তা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কোচবিহার থেকে ফেরার পথে কপ্টার দুর্যোগে জরুরি অবতরণ করতে গিয়ে পায়ে ও কোমরে প্রবল চোট পেয়েছেন মমতা। সেই কারণে সোমবার ফোনে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার সভা সারলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। দুবরাজপুরের সেই সভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগার পাশাপাশি দলের মধ্যেও ঐক্যের বার্তা দেন তৃণমূল সভানেত্রী। মণিপুরের মতো বাংলাতেও বিজেপি জাতি-সংঘর্ষ বাধাতে চাইছে- অভিযোগ মমতার। একইসঙ্গে তিনি বলেন, দলের মধ্যে কোন বিভেদ তিনি বরদাস্ত করবেন না। সেরকম কিছু দেখলে ব্যবস্থা নেবেন।

এদিন, সভা থেকে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ থেকে কর্মসংস্থান- সব কিছু উঠে আসে তৃণমূল সুপ্রিমোর বক্তব্যে। তিনি প্রতিশ্রুতি, “দেউচা পাঁচামিতে ১ লক্ষ মানুষের কাজ হবে। দেউচা পাঁচামি হলে আর বিদ্যুতের কোনও সমস্যা হবে না।“ বীরভূমের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে বলে জানান তিনি।

এক তিরে বিজেপি-বাম-কংগ্রেসকে নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় বিভাজনের রাজনীতি করছে গেরুয়া শিবির। মণিপুরের মতো বাংলাতেও তারা জাতি-সংঘর্ষ বাধাতে চাইছে বলে অভিযোগ তৃণমূল সুপ্রিমোর। তাঁর কথায়, “বিজেপি কাশ্মীরকে শেষ করেছে। এখন বাংলায় চোখ। আদিবাসীদের লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। কামতাপুরির এক নেতা বিজেপি এর এখানে সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা আদিবাসীদের জন্য আইন করেছি। সেখানে রয়েছে, আদিবাসীদের সম্পদ কেড়ে নেওয়া যাবে না। ৬০ বছরের পরে পেনশন দেওয়া হচ্ছে। মণিপুরের পরিস্থিতি দেখুন। এগুলো বিজেপি করাচ্ছে।”
এর পরেই বামেরদের নিশানর করেন মমতা। বলেন, “সংখ্যালঘুদের ভুল বার্তা দেওয়া হচ্ছে। সিপিএম কত মানুষ কে মেরেছে। তাদের হাত থেকে বাংলার মানুষ মুক্তি পেয়েছে। জঙ্গলমহলে বিজেপি টাকা দিচ্ছে, কার কত কেলেঙ্কারি আছে, সেই তথ্য আমাদের কাছে আছে। কেউ যদি কোনও অন্যায় করে কোর্ট তাঁকে শাস্তি দিক। অথচ কোর্ট এ কিছু প্রমাণ করতে পারছে না।“ কংগ্রসকে তীব্র কটাক্ষ করে মমতা বলেন, “কংগ্রেস দিল্লিতে বলছে একসঙ্গে লড়ব, বাংলাতে বলছে এসো মমতার বিরুদ্ধে লড়াই করব। দুই রকম লাড্ডু তো হয় না।”
এরপরেই দলীয় কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার বার্তা দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বলেন, “সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমাদের সহকর্মীদের বলব, কোনো রকম বিভেদ নয়। সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। কোনও বিভেদ দেখলে আমি কিন্তু অ্যাকশন নেব। আমি বাড়ি থেকেই কাজ করছি। আমার ৭ -৮ দিন সময় লাগবে বাইরে বেরোতে।”
পায়ের চোট প্রসঙ্গে মমতা জানান, “ভুল বুঝবেন না। আমার ৮-১০ দিন লাগবে। তারপর আমি বেরোতে পারব। তারপর আমার ছোটখাটো অপারেশন করতে হবে। আমার হাঁটুতে জোর লেগেছে। আমি মানসিক ভাবে শক্ত আছি।”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*