ঘাটালে পৌঁছেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এলাকার পরিস্থিতি পরিদর্শন করে মমতা বলেন, ‘বারবার বলা সত্ত্বেও কেন্দ্র সরকার কিছুতেই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান অনুমোদন দিচ্ছে না। এই প্রজেক্ট তৈরি না হলে ঘাটালকে বাঁচানো যাবে না।’ পাশাপাশি তিনি ঘোষণা করেন, কেন্দ্রীয় সেচ মন্ত্রীর কাছে রাজ্যের মন্ত্রী-বিধায়কদের একটি প্রতিনিধি দল পাঠানো হবে। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান অনুমোদন নিয়ে যারা মন্ত্রীর কাছে বিস্তারিত জানাবেন।
মমতা এদিন বলেন, ‘ঘাটালের পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। বিমান থেকে সব দেখলাম। ছবিও তুলেছি। কলকাতায় ফিরে গিয়ে রিপোর্ট তৈরি করব।’ পাশাপাশি, পরিকল্পিত বন্যা মন্তব্যে এখনও অনড় মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে তিনি বলেন, ‘৫০০ কোটি টাকায় চেকড্যামগুলি তৈরি হয়েছে। কিন্তু পরিকল্পনা করে কাজ হচ্ছে না। প্রশাসনকে আরও বেশি কাজ করতে হবে। আরও অনেক ক্যাম্প তৈরি করতে হবে।’
এদিন, ঘাটালে নেমে প্রথমে অনুকূল ঠাকুরের আশ্রমে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে গিয়ে মন্দিরের পুরোহিতদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। আশ্রমের বাইরে ত্রাণ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন ঘাটালের সাংসদ দেব। রয়েছেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। তাঁদের সঙ্গে নিয়ে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রীতিমতো জমা জলে দাঁড়িয়ে কথা বলেন জেলাশাসকের সঙ্গে। সরেজমিনে খতিয়ে দেখলেন ঘাটালের পরিস্থিতি।
এর আগেও ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে সরব হয়েছিলেন অভিনেতা সাংসদ দেব। তিনি বলেন, ‘বলতে বাধ্য হচ্ছি। যতক্ষণ না দিদি প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ শেষ হবে না।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘যতই বিরোধী দলের লোকজন বলুক না কেন, সোনার বাংলা বানাব। কিন্তু, ভোটের পর তাঁদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ভোটের সময় এসে বড় বড় কথা বলে চলে গেল। এটা দুঃখজনক।’
Be the first to comment