বিতর্কের মাঝে হুগলির কামারকুণ্ডু রেলব্রিজের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। সিঙ্গুরের মঞ্চে দাঁড়িয়ে ভারচুয়ালি এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এই প্রকল্পের কথা চূড়ান্ত হয়। রাজ্য সরকার জমির বন্দোবস্ত করে বলেই জানান মুখ্যমন্ত্রী। সিঙ্গুরের মঞ্চে দাঁড়িয়ে শিল্পবার্তাও দেন তিনি। দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে উত্তরবঙ্গকে যুক্ত করতে নতুন একটি রাস্তার উদ্বোধনের ভাবনার কথাও বলেন।
এদিন রেল প্রকল্পের উদ্বোধনের আগে দেবী সন্তোষীর মন্দিরে পুজো দেন মুখ্যমন্ত্রী। শাড়ি, ফুল ও মিষ্টি দিয়ে পুজো দেন। মন্দির চত্বরে বেশ কয়েকজন শিশুকে খাবার দেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্যের নানা মন্দিরের সৌন্দর্যায়নের কাজ চলছে বলে জানান তিনি। তারাপীঠ, কঙ্কালীতলা, দক্ষিণেশ্বর ও কালীঘাটের মতো নানা মন্দিরকে ঢেলে সাজানো হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে দিঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরির সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী।
সিঙ্গুরের সঙ্গে নানা স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের মঞ্চ থেকে সেসব স্মৃতিচারণা করেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। ইসলামপুর থেকে ফেরার পথে আমাকে আটকে দেওয়া হয়েছিল। ডানকুনির পেট্রল পাম্পে অকল্পনীয় অত্যাচার করা হয়েছিল।” ‘সিঙ্গুরের মাতঙ্গিনী হাজরা’ সরস্বতী দেবীকে পাশে নিয়ে দাঁড়িয়ে স্থানীয়দের ভূয়সী প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সিঙ্গুর আন্দোলনের সময় গ্রামবাসীরা কীভাবে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন, সে কথা জানান মমতা।
এদিন মাধ্যমিকের সফল পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছাও জানান মুখ্যমন্ত্রী। মেধাতালিকায় নাম রয়েছে মোট ১১৪ জনের। রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের সাফল্যে খুশি মুখ্যমন্ত্রী। আগামী দিনে চায়ের আসরে কৃতীদের সঙ্গে দেখা করার আশ্বাস রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের।
Be the first to comment