‘আমি প্রগতি… আমি সাহস… আমি অনন্যা… আর আমরা কন্যাশ্রী’, ২০১২ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বাংলার মেয়েদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে কন্যাশ্রী প্রকল্পের সূচনা করেছিল। আজ অর্থাৎ শনিবার কন্যাশ্রী দিবস।
এদিন বাংলার কন্যাদের শুভেচ্ছা জানিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টুইট বার্তা, ‘কন্যাশ্রী দিবসে বাংলার মেয়েদের সাফল্যের গল্প উদযাপন করতে চাই। তাঁদের সাফল্য, উদ্যম এবং নিষ্ঠা দেখে আমি গর্বিত। লাখ লাখ তরুণীর স্বপ্নপূরণ হয়েছে কন্যাশ্রী প্রকল্পের হাত ধরে। দেশের দায়িত্ব নারী এবং যুবতীদের ক্ষমতায়নের দিকে নজর দেওয়া’।
শনিবার তৃনমূলের তরফ থেকেও কন্যাশ্রী দিবসের শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। শাসক দলের তরফ থেকে টুইট করে বলা হয়, ‘বাংলার মেয়েদের স্বপ্নপূরণের দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে কন্যাশ্রী প্রকল্প। লক্ষাধিক কিশোরী ওই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। কন্যাশ্রী দিবসে বাংলার সমস্ত মেয়েকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাতে চাই তাঁর এই অভিনব উদ্যোগের জন্য’।
কন্যাশ্রী প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করার জন্য নিজের স্কুল কিংবা কলেজ থেকেই ফর্ম সংগ্রহ করতে পারেন। ওই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করার সময় এটা মাথায় রাখতে হবে যে এর জন্য কিশোরী অথবা যুবতীর নামে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকা বাঞ্ছনীয়। কারণ, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কন্যাশ্রীর টাকা সরাসরি পড়ুয়ার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়। কারও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট না থাকলে সেক্ষেত্রে স্কুল কর্তৃপক্ষ কিংবা স্কুলের প্রধানের কাছে সাহায্য চাওয়া যেতে পারে। এরপর তিন পাতার ফর্ম সঠিকভাবে পূরণ করার পর তা স্কুলকে জমা দিতে হবে। এই ক্ষেত্রে বার্থ সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়।
পাশাপাশি, পড়ুয়া যে অবিবাহিত তা লিখিতভাবে জানাতে হবে। একই সঙ্গে ব্যাঙ্কের পাস বইয়ের প্রথম পাতার জেরক্স কপি জমা দেওয়া জরুরি। বিশদ তথ্য জানার জন্য লগ ইন করতে www.wbkanyashree.gov.in ঠিকানায়।
Be the first to comment