প্লাবিত এলাকা সশরীরে পরিদর্শন করতে বুধবার খানাকুল যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী

Spread the love

গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার, শুধু একদিনের রেকর্ড বৃষ্টিই ভেঙে দিয়েছে বহু বছরের রেকর্ড। প্লাবনের এমন ভয়াবহ রূপ আগে কখনও দেখেননি বলেই জানাচ্ছেন বন্যাবিধ্বস্ত এলাকার বর্ষীয়ান বাসিন্দারা। চার, পাঁচ দিন কেটে গেলেও কোনও কোনও জায়গায় এখনও জল জমা রয়েছে। সেখানে নিত্যদিনের কাজকর্ম করাই দুরূহ হয়ে উঠেছে। এখনও অনেকে ত্রাণশিবিরে দিন কাটাচ্ছেন। বাড়ি-ঘর আছে নাকি জলের টানে ভেসে গিয়েছে, তাও হয়ত অনেকের অজানা। এমনই এক বন্যাপ্লাবিত এলাকা হুগলির খানাকুল। বুধবার সেখানকার পরিস্থিতি পরিদর্শন করতে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি দিলীপ যাদব জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। তিনি খানাকুলের প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনের পাশাপাশি বন্যাদুর্গতদের সঙ্গেও কথা বলবেন। এর আগে সোমবার সকাল থেকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বায়ুসেনার হেলিকপ্টারে করে প্লাবিত এলাকার বাসিন্দাদের উদ্ধারকাজের ব্যবস্থা করেন দিলীপ যাদব। তিনি জানান, জলের স্রোত এতটাই বেশি যে স্পিডবোটে উদ্ধারকাজ চালানো কার্যত অসম্ভব ছিল। তাই বায়ুসেনার কপ্টারকে কাজে লাগাতে হয়েছে।

অন্যদিকে সোমবার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, দুর্গতদের যাতে ত্রাণের কোনও অভাব না হয়, তার ব্যবস্থা করতে মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। যে সমস্ত জেলায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, আর্থিক সাহায্য দেওয়ার জন্য মৃতদের তালিকাও তৈরি করার নির্দেশ দেন। মুখ্যমন্ত্রী নিজে পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছেন। নবান্নের কন্ট্রোল রুম থেকে প্রতিটি বিষয়ে খবর রাখছেন সেচ, ত্রাণ, বিপর্যয় দপ্তরের কর্তারা।

তবে দূর থেকে প্রতিকূলতা বুঝে ওঠা সম্ভব নয় বলেই মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই এবার নিজেই খানাকুলের প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে যাচ্ছেন। বুধবার দুপুর নাগাদ তিনি যাবেন খানাকুল। আকাশপথে হুগলির পাশাপাশি হাওড়ার প্লাবিত এলাকাও দেখার কথা তাঁর। সঙ্গে থাকবেন হুগলির তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব। দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের ভরসা জোগাবেন মমতা।  

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*