দেশে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো রক্ষায় সহমত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ও ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের। বৃহস্পতিবার, ভুবনেশ্বরে নবীন পট্টনায়েকের বাসভবনে ১ ঘণ্টারও বেশি সময় কথা বলেন দুজনে। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর জন্য উপহারও নিয়ে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নবীন পট্টনায়েক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো বজায় রাখার বিষয়ে এক যোগে সব রাজ্যকে সচেষ্ট হতে হবে। “ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো অক্ষুণ্ণ এবং শক্তিশালী থাকা উচিত।“ তবে, চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে বিরোধীদলগুলির ভূমিকা নিয়ে কোনও কথা হয়নি বলে মন্তব্য করেন বিজেডি প্রধান। এরপর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দেশের সুরক্ষা নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা হয়েছে। নস্টালজিক হয়ে পড়েন মমতা। জানান, তিনি প্রথমবার সাংসদ হওয়ার পরে বিজু পট্টনায়েকের জন্যে বৈঠক করেন। পট্টনায়েক পরিবারে তিনি নিমন্ত্রিত ছিলেন বলেও জানান তৃণমূল সভানেত্রী।
এটিকে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে উল্লেখ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো শক্তিশালী থাকা উচিত। এই বিষয়ে নবীনজি যা বললেন আমি সর্বান্তকরণে সমর্থনে করি।“ তৃণমূল সুপ্রিমোর কথায়, “আমরা দেশের নিরাপত্তা এবং গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার বিষয়ে কথা বলেছি“। একই সঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী জানান, পুরীতে বিশ্ববাংলা ভবনের জন্য ২ একর জমি দিয়েছে ওড়িশা সরকার। এদিনই সেই নথি মমতাকে দেওয়া হয়েছে। মমতার আশা, “বাংলা-ওড়িশার মধ্যে ভবিষ্যতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডর হতে পারে।“ বাংলা ও ওড়িশার ভূপ্রকৃতি ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়জনিত সমস্যার মিলের কথা উল্লেখ করে যৌথভাবে কাজ করার বিষয়ে মন্তব্য করেন মমতা।
তবে, লোকসভা নির্বাচন নিয়ে জাতীয়স্তরে লড়াইয়ের রূপরেখা স্থির করতে বিজেডি প্রধানের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে কি না এই প্রশ্ন উত্তরে তৃণমূল সুপ্রিমো জানান, এখনও একবছর দেরি আছে। কিছু বিষয়ে মত পার্থক্য হতেই পারে, তবে, সেটা তিনি পরে জানাবেন বলে মন্তব্য করেন মমতা।
Be the first to comment