পাহাড় সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি প্রবল বর্ষণ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত হয়েছে দার্জিলিং-সহ পাহাড়ের অনেকাংশ৷ আবহাওয়ার খামখেয়ালিতে বিপর্যস্ত পাহাড়। ঘনঘন সেখানে নামছে ধস। এই অবস্থায় পাহাড়ের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নে সূত্রে জানা যাচ্ছে, উত্তরবঙ্গ থেকেই গোয়া সফরে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, ভবানীপুর বিধানসভা উপ-নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরে যাওয়ার কথা থাকলেও, সেসময় নির্বাচনের কথা ভেবে সেই সফর বাতিল করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘিত হতে পারে ভেবে প্রায় শেষ মুহূর্তে ওই সফর বাতিল করলেও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, নির্বাচনের পর তিনি উত্তরবঙ্গে যাবেন। সেই কথাই রাখলেন মমতা। এখনও পর্যন্ত তাঁর যে কর্মসূচি ঠিক হয়েছে সেই অনুযায়ী, রবিবার উত্তরবঙ্গের উদ্দেশে কলকাতা থেকে উড়ে যাবেন তিনি।
২৪ এবং ২৫ অক্টোবর শিলিগুড়িতে থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠকও করবেন তিনি। এরপর ২৬ ও ২৭ অক্টোবর তিনি থাকবেন পাহাড়ে। সেক্ষেত্রে কার্শিয়াং থেকে ভূমিধস বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন তিনি। কথা বলতে পারেন পাহাড়ের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গেও। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের আশানুরূপ ফল না হলেও উত্তরবঙ্গকে তিনি যে উপেক্ষা করেন না, তারই প্রমাণ স্বরূপ ভোটের ৬ মাসের মধ্যেই দু’বার উত্তরবঙ্গে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি।
মনে করা হচ্ছে, পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে যখন লাগাতার ভূমিধস চলছে, মানুষের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত তখন এই বিপদের দিনে পাহাড়ের মানুষের পাশে দাঁড়িতেই এই সময় নিজের পাহাড় সফর বেছে নিলেন তিনি ৷ নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২৭ অক্টোবর তিনি পাহাড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখে মানুষের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।
তবে তাঁর গোটা কর্মসূচিই নির্ভর করছে আবহাওয়া এবং অন্যান্য পরিবর্তিত পরিস্থিতির উপর। সূত্রের খবর, পাহাড় থেকে কলকাতায় ফিরে চলতি মাসের শেষেই গোয়া সফরে যেতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সম্প্রতি গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী-সহ সেখানকার বেশ কয়েকজন নেতা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন ৷
প্রসঙ্গত, গোয়াতেও সাংগঠনিক হাল মজবুত করতে উঠে পড়ে লেগেছে তৃণমূল। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর সেখানে তৃণমূলের জনপ্রিয়তা বেড়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। আর সেই পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীর গোয়া সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। বিজয়া দশমীতে গোয়ায় খুলেছে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়। পানাজিতে দলীয় কার্যালয় উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। গোয়ার দু’বারের মুখ্যমন্ত্রী এবং সাতবারের কংগ্রেস সাংসদ লুইজিনহো ফেলিইরো সহ একঝাঁক জনপ্রিয় কংগ্রেস নেতা তৃণমূলে যোগ দিতেই সমুদ্রপারেও শক্ত হচ্ছে ঘাসফুলের শিকড়।
Be the first to comment