তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক রদবদলের আবহেই প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বৈঠক করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, শুক্রবার কালীঘাটের মমতার বাড়িতেই তিন ঘণ্টা চলেছে সেই বৈঠক। ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তার ভিত্তিতে আগামী সপ্তাহে জেলা-স্তরে সাংগঠনিক রদবদলের ঘোষণা করে দিতে পারে ঘাসফুল শিবির।
তবে তৃণমূলের অন্দরের খবর, পিকের পরামর্শ মতো তৃণমূলের অন্দরে ‘এক পদ, এক নীতি’ কার্যকর করতে বদ্ধপরিকর মমতা। সেইসঙ্গে তরুণ প্রজন্মের উপর বাড়তি গুরুত্ব করতে চান। আগামী সপ্তাহেই ‘বড়সড়’ কিছু ঘোষণা করা হতে পারে। নাম গোপন রাখার শর্তে তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, পুর নির্বাচন, ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে সাংগঠনিক রদবদল করা হবে। সব নির্বাচনের বিজেপি কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গত মাসের গোড়াতেই কোর কমিটির বৈঠকে তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদলের বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। সূত্রের খবর, সেখানে ঠিক হয়েছে যে বিধানসভা ভোটে ব্যাপক সাফল্য পেলেও দলে ‘শুদ্ধিকরণ’ অভিযান চলবে। দলের সংগঠনকে জোরদার করতে রাজ্যকে বিভিন্ন সাংগঠনিক এলাকায বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে উত্তরবঙ্গে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন এবং ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে যে এলাকায় ফল ভালো হয়নি, সেখানে বড়সড় রদবদল হবে সাংগঠনিক স্তরে। সেইসঙ্গে কমপক্ষে আটটি জেলার সভাপতি পালটে দেওয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেই বৈঠকে। কিন্তু কোন কোন জেলায় সেই পরিবর্তন হবে, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
সেই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক মহলের ধারণা, পিকের সঙ্গে বৈঠক করে শেষবেলায় মমতা সেই সাংগঠনিক রদবদলের শেষবেলার কৌশল নির্ধারণ করে নিচ্ছেন।
Be the first to comment