করোনা মোকাবিলায় বাংলায় বিধিনিষেধে কিছুটা ছাড় দেওয়া হল। খুচরো দোকানে কিছুটা ছাড় দেওয়া হল। বেলা ১২টা থেকে ৩টে পর্যন্ত খুচরো দোকান খোলা থাকবে। তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ কর্মী কাজ করতে পারবেন। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে একথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনও নির্মাণ সংস্থা যদি নিজেদের কর্মীদের ভ্যাকসিন দিয়ে কাজ শুরু করতে চায়, তাদের ছাড় দেওয়া হবে। তবে দূরত্ববিধি মেনে চলতে হবে। আগামী ১৬ তারিখ পর্যন্ত জারি থাকবে বিধিনিষেধ। বাংলায় আপাতত বন্ধ থাকছে ট্রেন, বাস. মেট্রো পরিষেবা।
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজ্যে করোনার সংক্রমণ অনেকটা কমেছে’। রাজ্যে ১ কোটি ৪১ লাখ টিকা এখনও পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে রাজ্যে অ্যাক্টিভ কেস অনেকটাই কমেছে। নিজেদের টাকায় টিকা কেনা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। মে মাসে প্রায় ১৮ লক্ষ ডোজ রাজ্য কিনেছে। জুন মাসে আরও ২২ লক্ষ ভ্যাকসিন ডোজ় কেনা হচ্ছে। এর জন্য ১১৪ কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। সুপার স্প্রেডারদের রাজ্যে টিকাকরণে জোর দেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সবজি বিক্রেতা, হকার, মৎস্য বিক্রেতাদের মত বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রের মানুষকে যুক্ত করা হয়েছে। এখনও ৯ লক্ষ এই ধরনের মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, যানবাহন চলাচলে বিধিনিষেধ থাকলেও খোলা রয়েছে পেট্রোল পাম্প, গাড়ি মেরামতির দোকান ৷ সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টো পর্যন্ত ব্যাঙ্ক খোলা থাকছে৷ চালু থাকছে সমস্ত অনলাইন পরিষেবা ৷ মিষ্টির দোকান খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৷ তবে চা বাগানগুলির ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করা হচ্ছে ৷ জুট মিলগুলি ৩০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ চালু রেখেছে ৷
Be the first to comment