রোজদিন ডেস্ক :- তিনদিনের দিঘা সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার দিঘার জগন্নাথ মন্দির পরিদর্শন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। খুঁটিয়ে দেখলেন গোটা মন্দির চত্বর। বিগ্রহের কাজ কতদূর এগিয়েছে, কীভাবে দর্শনার্থীদের ভিড় সামলাবেন মন্দির কর্তৃপক্ষ? সবটা নিয়ে আলোচনা করলেন প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে। এদিন মন্দির পরিদর্শনের সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন কলকাতার ইসকনের ভাইস প্রসিডেন্ট রাধারমণ দাস, রাজ্যের মুখ্যসচিব, জেলাশাসক ও বিধায়ক।
এদিন দুপুর দেড়টা নাগাদ জগন্নাথ মন্দিরে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা মন্দির চত্বর অনেকটা সময় নিয়ে ঘুরে দেখেন তিনি। খুঁটিয়ে দেখেন বিগ্রহের কাজ কতদূর এগিয়েছে। সঙ্গে এও জানতে চান, যখন দর্শনার্থীদের ভিড় উপচে পড়বে তখন মন্দির কর্তৃপক্ষ কীভাবে সবটা সামলাবে। কেননা দিঘাতে সারা বছরই পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে। তাই মন্দির উদ্বোধনের পর সেখানে দর্শনার্থীরা গেলে সবটা যাতে ভালোভাবে সামলে নিতে পারে মন্দির কর্তৃপক্ষ সেদিকে নজর দিতে বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন তাঁর সঙ্গে মন্দিরে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, জেলাশাসক, বিধায়ক ছাড়াও রয়েছেন কলকাতা ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস। বিকেলে জেলাশাসকদের নিয়ে তিনি বৈঠক করবেন। সেখানেও হাজির থাকবেন রাধারমণ দাস।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ৩ মে শুরু হয় মন্দির নির্মাণের কাজ। নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের সংস্থা হিডকো’কে। রাজ্যের তরফে আপাতত ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে মন্দিরের জন্য। এছাড়াও, দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরও হচ্ছে পুরীর মন্দিরের সমান উচ্চতায়। প্রায় ৬৫ মিটার উঁচু দিঘার জগন্নাথ মন্দির। রয়েছে প্রভু জগন্নাথ দেবের জন্য ভোগ ঘর। তবে সেই ভোগ কারা রান্না করবেন তা এখন সামনে আসেনি।
Be the first to comment