মালদার তৃণমূল নেতার গুলিবিদ্ধ ঘটনায় জেলার পুলিশের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ মমতার

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক,কলকাতা :- বাড়ির সামনেই গুলিবিদ্ধ হলেন মালদা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা বাবলা ওরফে দুলাল সরকার। বাড়ির ৫০০ মিটারের মধ্যে নর্থ পয়েন্ট স্কুলের সামনে অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে চারটে গুলি চালায়। যার মধ্যে তিনটে গুলিই দুলাল সরকারের গায়ে গিয়ে লাগে। এরপরই গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দুলাল সরকারের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি ‘পুলিশের গাফিলতিতেই দুলালকে খুন করা হয়েছে।’

দুলাল সরকারের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘দুলাল সরকার আমার খুব পরিচিত একজন নেতা। আমার সহযোদ্ধা। একেবারে শুরু থেকেই আমার সঙ্গে কাজ করেছে। ওকে আজ খুন করা হয়েছে। সবটা হয়েছে পুলিশের গাফিলতিতেই। ওর সিকিউরিটি আগে ছিল সেটা তুলে নেওয়া হয়। এর আগেও দুলালকে মারার চেষ্টা করা হয়েছিল। ওর মৃত্যু খুব দুঃখের। আমি ফিরহাদ হাকিম এবং সাবিনা ইয়াসমিনকে এখনি পাঠাবো। ওরা হেলিকপ্টারে যাবে। সব ব্যবস্থা করে দিয়েছি।’
এদিন প্রশাসনিক বৈঠকে এসপির ভূমিকার সমালোচনা করে মমতা বলেন, “এসপির একটা চোখ থাকবে কাজে, অন্য চোখ থাকবে অন্য কাজে, এমন এসপি আমাদের চাই না।”
শুধু নবান্নের বৈঠক নয়, দুলাল সরকারের জন্য এক্স হ্যান্ডেলে দীর্ঘ পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘আমার ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং জনপ্রিয় নেতা বাবলা সরকার আজ খুন হয়েছেন। তৃণমূলের গোড়ার দিন থেকে উনি (বাবলা) এবং তাঁর স্ত্রী চৈতালি সরকার দলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন। বাবলা কাউন্সিলর হিসাবেও নির্বাচিত হয়েছেন। এই ঘটনার কথা জেনে আমি দুঃখিত এবং হতবাক। অপরাধীদের দ্রুততার সঙ্গে ধরা উচিত।’
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিজের ব্যবসাকেন্দ্রের দিকে যাচ্ছিলেন দুলাল সরকার। কারখানার সামনে গাড়ি থেকে নামতেই দুটি বাইকে করে আসা চারজন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। দুষ্কৃতীদের প্রত্যেকেরই মুখ ঢাকা ছিল। এরপরই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। এই মুহূর্তে চিকিৎসকরা তাঁর দেহ থেকে গুলি বের করার চেষ্টা করছেন। গুলিবিদ্ধ নেতার শারীরিক অবস্থা সংকটজনক বলেই জানা গিয়েছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*