শনিবারই শুরু হচ্ছে নবান্ন দখলের লড়াই। আর তার আগে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই ‘মীরজাফর’দের নিশানা করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এমনিতেই ভোটের উত্তাপ যত বাড়ছে, ততই বিজেপির বিরুদ্ধে রণংদেহী হয়ে উঠছেন মমতা। প্রকাশ্য সভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে বহিরাগত গুণ্ডা ঢোকানোর অভিযোগও করছেন তিনি। প্রথম দফায় ভোট রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরেও। আর তার আগেই শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের সভা থেকে তৃণমূল নেত্রী অভিযোগ করেন, ‘সব খবর আমাদের কাছে আছে। আপনারা জানেন, কাঁথি বাসস্ট্যান্ড থেকে রাত এগারোটার সময় উত্তরপ্রদেশের ৩০ জন গুণ্ডা অস্ত্র হাতে ধরা পড়েছে। বুঝতে পারছেন আপনারা, কী করার ষড়যন্ত্র করছে এঁরা, মীরজাফররা? এদের জবাব দেবেন। আর সমস্ত রকম সুবিধা চাইলে আমাকে ভোট দেবেন।’
ইদানীং প্রতিটি সভাতেই বিজেপির ‘কারচুপি’ নিয়ে সরব হচ্ছেন মমতা। ইভিএম চেক থেকে ভোটের দিন সার্বিক নজর, বুথ কর্মীদের বারেবারে সতর্ক থাকার কথা বলছেন তিনি। বিশেষ করে যারা বুথ এজেন্ট, পোলিং এজেন্ট তাদেরকে তিনি বারবার বাড়ির খাবার ব্যতীত অন্য খাবার খেতে নিষেধ করছেন।
মমতার কথায়, ‘বুথ কর্মীরা আমার দলের সম্পদ। কিন্তু চক্রান্ত করে কেউ বা কারা তাদের খাবারের মধ্যে ঘুমের ওষুধ বা এমন কিছু মিশিয়ে দিতে পারে। যাতে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় হয়ে পড়ায় ভোটের দিন বা পরে অন্যরকম খেলা হতে পারে।’
এদিন দাসপুর থেকেও মমতা বলেন, ‘অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের জায়গা নেই। মেশিন ভালো করে পরীক্ষা করে নিন। ভিভিপ্যাট দেখে নিন। বিজেপির মতো শয়তানের দল নেই। ইউপি, বিহারের পুলিশ আসবে৷ বিজেপির ইউপি’র পুলিশ আসবে। তাই নিজেরা থাকবেন। ওরা দিলেও বিরিয়ানি আর চা খাবেন না।’
তাঁর নিজের কেন্দ্র, নন্দীগ্রামে ১ এপ্রিল ভোট। এদিন সেই প্রসঙ্গও তুলে আনেন মমতা। জানিয়ে দেন, ‘আমি নন্দীগ্রামে ১ তারিখ অবধি থাকব। ভোট করে আমি যাব।গুন্ডাদের আনছে। বহিরাগতদের ঢুকতে দেবেন না। গুন্ডা নিয়ে গুন্ডামি করলে ছেড়ে দেবেন না। মায়েরা হাতা খুন্তি নিয়ে তাড়া করবেন। বিজেপিকে রাজনৈতিক ভাবে খরচা করে দেবেন। নারীদের যাতে অসম্মান করতে না পারে। সেদিকে আপনারাই নজর রাখবেন। মেশিন নকল করে, বহিরাগত গুন্ডা নিয়ে আসে।’
এদিন দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে হোমটাস্ক দিয়েছেন মমতা। বলেছেন, ‘নির্বাচনের পরে আগামী একমাস পাহাড়া দিতে হবে ইভিএম মেশিন। যে সব ভোটের গণনা কেন্দ্র আছে, সেখানে সারাক্ষণ নজর রাখতে হবে। যারা দলের কর্মী, তাদের একটা টিম বানিয়ে সেখানে থাকতে হবে। যারা সব সময় নজর রাখবে গণণা কেন্দ্রের ওপরে।’
Be the first to comment