রবিবার সকালেই আনুষ্ঠানিক ভাবে দেশের নয়া সেনাপ্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল মনোজ পাণ্ডে। দায়িত্ব বুঝে নিয়েই নয়া সেনাপ্রধান জানান, লাইন অফ কন্ট্রোল এবং প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা স্বাভাবিক রয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে উদ্বেগ থাকলেও তা নজরে রয়েছে সেনার। চিন-ভারত সম্পর্ক নিয়ে মনোজ পাণ্ডের মন্তব্য, চিনকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে এলএসির স্থিতাবস্থার পরিবর্তন মেনে নেবে না ভারত।
নিয়ম মতো রবিরা দিল্লির সাউথ ব্লকে আনুষ্ঠানিক গার্ড অফ অনার দেওয়া হয় নয়া সেনা প্রধানকে। এরপর সাংবাদিকদের নতুন সেনাপ্রধান বলেন, “দেশের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। এই অবস্থায় সেনাকে সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে।” নয় সেনা প্রধান আরও বলেন, “আমরা স্বতন্ত্রতা, স্বাধীনতা ও সাম্যের মূল্যবোধের প্রতি সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মনোজ পাণ্ডে আরও বলেন, “আমার কাজ হবে সমসাময়িক এবং ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জের জন্য সেনাকে প্রস্তুত করা। অপারেশনাল প্রস্তুতির মান উন্নয়নে জোর দেওয়া হবে। সেনার সামর্থ্যের উন্নয়ন এবং আধুনিকীকরণের প্রতি নজর থাকবে।” সেনা প্রধান দেশীয় প্রযুক্তির উপরে জোর দিচ্ছেন। বলেন, প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ‘আত্মনির্ভরতা’ বাড়াতে হবে আমাদের। আরও বলেন, “দেশ গড়ার কাজে ইতিবাচক অবদান রাখতে হবে।”
সেনা প্রধানের দায়িত্ব পেয়ে তিনি গর্বিত বলেও জানান মনোজ পাণ্ডে। তাঁর কথায়, “এটা আমার জন্য গর্বের বিষয় যে আমাকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব করতে দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় সেনার একটি গৌরবময় অতীত ছিল যা দেশের নিরাপত্তা ও অখণ্ডতা বজায় রেখেছে। একইভাবে, এটি জাতি গঠনে অবদান রেখেছে।”
প্রসঙ্গত, গত ১৮ এপ্রিলে নয়া সেনা প্রধান হিসেবে মনোজ পাণ্ডের নাম ঘোষণা করে কেন্দ্র। দেশের ২৯তম সেনাপ্রধান হিসাবে নিযুক্ত করা হয় তাঁকে। এর আগে মনোজ পাণ্ডে সহকারি সেনাপ্রধান হিসেবে কাজ করছিলেন। জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানের স্থলাভিষিক্ত হন তিনি। সেনাপ্রধান হিসেবে মনোজ মুকুন্দ নারাভানের ২৮ মাসের জার্নি শেষ হয় গত ৩০ এপ্রিলে।
Be the first to comment