মাসখানেক আগেই আলাদাভাবে ডেকে ‘কিছুটা ধমক’ দিয়েছিলেন। সকলের সামনে মনোরঞ্জন ব্যাপারীকে একেবারে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘কী! এবার তো আমার আসল লোক। দলিত সাহিত্য অ্যাকাডেমির মনোরঞ্জন ব্যাপারী সাহেব, বলেন।’
বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর পৌরহিত্যে তফসিলি জাতির নয়া কাউন্সিলের বৈঠক হয়। অন্যান্য সদস্যের মতো বলাগড়ের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কের সঙ্গেও কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। যে মনোরঞ্জন ব্যাপারী একটা সময় ফেসবুকে একের পর এক পোস্ট করে রাজ্যের দলকে চূড়ান্ত অস্বস্তিতে ফেলেছেন। তা নিয়ে মমতার কাছে ‘মুদৃ ধমকও’ খেয়েছিলেন।
তারপরও অবশ্য নিজের রাস্তায় অবিচল থেকেছেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী। মমতা সতর্ক করে দেওয়ার পরও তৃণমূলের পক্ষে অস্বস্তিকর পোস্ট করেছেন। কখনও লিখেছেন, ‘আমি থাকি বা না থাকি, আমি যে একদিন ছিলাম এটা তুমি কোনওদিন ভুলতে পারবে না।’ কখনও আবার লিখেছেন, ‘যাঁরা বন্দুক দেখিয়ে ভোটে জেতেন, তাঁদের জনগণের প্রতি কোনও দায়বদ্ধতা থাকে না।’
যদিও বুধবার মনোরঞ্জন ব্যাপারীর সঙ্গে একেবারে খোশমেজাজেই কথা বলেন মমতা। একগাল হেসেই দলিত সাহিত্য অ্যাকাডেমিতে নিজের লেখা বইয়ের অনুবাদ রাখার আর্জি জানান। নাম না করে মাঝেমধ্যেই তৃণমূলকর্মীদের বিরুদ্ধে যে ক্ষোভ উগরে দেন, তা নিয়ে প্রশাসনিক সভায় কোনও মন্তব্য করেননি বলাগড়ের বিধায়ক বরং মতামত জানার জন্য মমতা ডাকলে মনোরঞ্জন ব্যাপারী বলেন, ‘আমার কিছু বলার নেই দিদি। অন্তর থেকে আপনাকে প্রণাম জানাই।’ তারইমধ্যে বলাগড়ে দলিত সাহিত্য অ্যাকাডেমির শাখা যে আর্জি জানান মনোরঞ্জন ব্যাপারী, তাও মঞ্জুর করে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
Be the first to comment