রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- ছত্তিশগড়ের বিজাপুরে সিআরপিএফ জওয়ানদের গাড়িতে মাওবাদী হামলা। সোমবার অতর্কিত হামলায় ৯ জন জওয়ান শহিদ হয়েছেন। গুরুতর আহত আরও কয়েকজন। এমনটাই জানিয়েছেন বস্তারের আইজি সুন্দররাজ পি।
পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সোমবার বিজাপুরের কুটরু এলাকা দিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীদের একটি কনভয় যাচ্ছিল। সেই সময় জওয়ানদের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে লুকিয়ে থাকা মাওবাদীরা। হামলায় দুমড়ে-মুচড়ে যায় জওয়ানদের গাড়িটি। ঘটনায় ৯ জন জওয়ান শহিদ হন।
উল্লেখ্য, ছত্তিশগড়ের দক্ষিণ আবুজমাদে শনিবার গভীর রাতে নিরাপত্তা বাহিনী ও মাওবাদীদের মধ্যে এনকাউন্টার শুরু হয়। এনকাউন্টার চলাকালীন নিরাপত্তা বাহিনীর পোশাক পরিহিত ৪ মাওবাদীর দেহ উদ্ধার হয়। সোমবার সকালে এলাকায় তল্লাশি চালানোর সময় আরও এক মাওবাদীর দেহ উদ্ধার করেন নিরাপত্তারক্ষীরা। মৃতদের মধ্যে ২ জন মহিলাও রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, এই এনকাউন্টারে দান্তেওয়াড়া ডিআরজি-এর হেড কনস্টেবল শহিদ হন।
এনকাউন্টার প্রসঙ্গে বস্তারের আইজি সুন্দররাজ পি জানান, আবুজমাদের জঙ্গলে মাওবাদীদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। শনিবার রাতে নারায়ণপুর, দান্তেওয়াড়া, জগদলপুর, কোন্ডাগাঁও জেলার ডিআরজি এবং এসটিএফের একটি যৌথ বাহিনী মাওবাদী বিরোধী তল্লাশি অভিযানের জন্য আবুজহমাদ এলাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। এই সময় নিরাপত্তা বাহিনী ও মাওবাদীদের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়। এনকাউন্টারের পরে, তল্লাশি অভিযান চলাকালীন ৪ জন মাওবাদীর দেহ উদ্ধার করেন নিরাপত্তারক্ষীরা। ঘটনাস্থল থেকে একে ৪৭, এসএলআরের মতো স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে।
সেই ঘটনার রেশ কাটতে না-কাটতেই সোমবার সিআরপিএফ গাড়িতে হামলা চালাল মাওবাদীরা। এই নিয়ে চলতি বছরে ছত্তিশগড়ে চতুর্থ মাওবাদী হামলা। এর আগে গত ৩ জানুয়ারি গড়িয়াবন্দ জেলায় নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে এনকাউন্টারে ৩ মাওবাদীর মৃত্যু হয়।
প্রসঙ্গত, ছত্তিশগড়ের এই হামলা জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ের উপর হামলার স্মৃতি উস্কে দিল। পুলওয়ামায় ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সিআরপিএফ কমভয়ের উপর হামলা চালায় পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। হামলায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হন।
Be the first to comment