মারাঠা-বিদ্রোহী শিবিরে এখন ৫০ জন বিধায়ক আছেন। এমনটাই দাবি করলেন ‘প্রকৃত শিবসৈনিক’ একনাথ শিণ্ডে। মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী শিণ্ডে একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, উদ্ধব ঠাকরে নন, তাঁরাই এখন আসল শিবসেনা। নির্দলসহ তাঁর সঙ্গে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ৫০ জন বিধায়ক আছেন। উদ্ধবের শিবির বা এমভিএ সরকার এখন ভেঙে পড়ার দোরগোড়ায়।
শুক্রবার সকালে ফের নাটকীয় মোড় অসমের গুয়াহাটির পাঁচতারা হোটেলের সামনে। উদ্ধবের হয়ে দৌত্য করতে এখানে আসেন সাতারার জেলা সহ সভাপতি। তিনি শিণ্ডের সঙ্গে সমঝোতা করতে এসেছিলেন। কিন্তু তার আগেই সঞ্জয় ভোঁসলে নামে ওই নেতাকে বিজেপির অসম পুলিস আটক করে। পুলিস জানিয়েছে, ওই জায়গাটি এখন খুবই স্পর্শকাতর এলাকা। আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওদিকে, মুম্বই থেকে যে মাঝেমধ্যে হুঙ্কার ছাড়ছেন উদ্ধব-অনুগতরা, সে সম্পর্কে শিণ্ডের মন্তব্য, আমরা বালাসাহেবের সৈনিক, ওসব হুমকিতে ভয় পাই না। উপরন্তু, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মহারাষ্ট্র বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার নরহরি জিরওয়ালকে চিঠি লিখে শিণ্ডে নিজেকে শিবসেনার পরিষদীয় দলনেতা বলে ঘোষণা করেছেন। একইসঙ্গে তাঁর অনুগামী নেতা ভারতশেঠ গোগাওয়ালেকে দলের মুখ্য সচেতক বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
এদিকে, উদ্ধব শিবিরের এখনও ভাঙে তবু মচকায় না দশা। দলের নেতা সঞ্জয় রাউত হুমকি দিয়ে শিণ্ডেকে বলেছেন, এ যুদ্ধ হয় আদালতে নয়তো পথে নেমে হবে। যদি প্রয়োজন হয়, তবে আমাদের কর্মীরা পথে বেরিয়ে আসবে। শুক্রবারই এই পরিস্থিতিতে উদ্ধব ঠাকরে দলের জেলা সভাপতিদের এক বৈঠকে ডেকেছেন। কারণ, ইতিমধ্যেই মারাঠা গ্রামীণ নেতা শিণ্ডে দাবি করেছেন, তাঁর সঙ্গে প্রায় ৪০০ কাউন্সিলর ও কয়েকজন সাংসদও রয়েছেন। নয়া সরকার গঠন হলেই তাঁরা নৌকা পালটি করবেন বলে দাবি শিণ্ডের।
Be the first to comment