এবার রাজ্যের স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে বদল আনতে বিল পাশ হল বিধানসভায়। স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে রাজ্যপালের বদলে মুখ্যমন্ত্রীকে বসাতে চায় রাজ্য। সেই মর্মেই বিল আনা হয়। বিধানসভায় চিরকূটের ভোটাভুটিতে পাশও হয়ে যায় আচার্য বিল। এই বিল পাশের প্রতিবাদে রাজভবনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের দ্বারস্থ হন বিরোধীরা।
মঙ্গলবার বিধানসভায় ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ হেলথ সায়েন্স অ্যামেন্ডমেন্ট বিল, ২০২২ বিলটি পেশ করেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। প্রথমে ধ্বনি ভোটে পাশ হয়ে যায় বিলটি। কিন্তু তাতে বাদ সাধে বিরোধীরা। ভোটাভুটির দাবিতে সরব হন তাঁরা। আগেরদিন চিরকূটে ভোটাভুটির গণনায় গরমিল হয়েছিল। সেই উদাহরণ টেনে এদিন গণকযন্ত্রে ভোটের দাবি করেন বিজেপি বিধায়করা। সেই দাবি মেনে নেন বিধানসভার স্পিকার। কিন্তু তাতেও বিপত্তি। দেখা যায়, ভোটের সংখ্যায় গণ্ডগোল হয়েছে।
এরপর ফের চিরকূটে ভোটগ্রহণ হয়। তাতে বিলের পক্ষে ১৩৪টি , বিপক্ষে ৫১টি ভোট পড়ে। ভোটদানে বিরত ছিলেন আইএসএফ নওসাদ সিদ্দিকি। বিল পাশের প্রতিবাদে রাজভবনে নালিশ জানাতে যান বিরোধী বিধায়করা। তাঁদের বক্তব্য শোনার পর প্রতিক্রিয়াও দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
রাজ্য সরকারের অধীনস্থ সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাজ্যপাল। কিন্তু বর্তমান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সম্পর্ক আদায়-কাঁচকলায়। রাজ্য সরকারের অভিযোগ, রাজ্যপালের কাছে বিল পাঠানো হলে তা তিনি স্বাক্ষর করেন না। ফলে প্রশাসনিক কাজে সমস্যা হয়। এবার রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তরের অধীনস্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রিসভা। সেই উদ্দেশ্যে বিধানসভায় বিল পাশ করা হচ্ছে।
এদিকে নিয়ম মেনে বিল পাঠানো হবে রাজ্যপালের কাছে। কিন্তু তিনি যে সেখানে স্বাক্ষর করবেন না, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। ফলে বিল ফের বিধানসভায় ফেরত আসতে পারে। তার পর তা আরও একবার রাজ্যপালের কাছেই যাবে। যেহেতু শিক্ষা সংবিধানের যুগ্মতালিকায় রয়েছে, তাই বিলটি কেন্দ্রের কাছে পাঠিয়ে দিতে পারেন তিনি। তাই বিধানসভায় বিল পাশ হলেও এখনই রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে বসতে পারছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Be the first to comment