২০১৯ সালের ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করেছিল কেন্দ্রের মোদি সরকার। শনিবার ৩৭০ ধারার বাতিলের চতুর্থ বর্ষপূর্তিতে কোনওরকম অশান্তি এড়াতে জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহেবুবা মুফতিকে গৃহবন্দি করল প্রশাসন। শুধু মুফতি নন, একই সঙ্গে গৃহবন্দি করা হয়েছে তাঁর দল পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে। এই ঘটনায় টুইটারে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
জম্মু-কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের চতুর্থ বর্ষপূর্তিতে সভা করার অনুমতি চেয়েছিলেন মেহবুবা মুফতি। তবে প্রশাসন তাকে সেই সভা করার অনুমোদিত দেয়ইনি উল্টে মেহবুবা সহ তার দলের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে গৃহবন্দী করা হয়। এরপরই টুইটারে খুব উগরে দেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লেখেন, “আমাকে এবং আমাদের দলের কয়েকজন শীর্ষনেতাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। গতকাল রাতে বেআইনিভাবে আমার দলের কর্মীদের আটক করা হয়। কাশ্মীরের শান্তি রয়েছে- এ বিষয়ে ভারত সরকার যে দাবি করে তা যে ভুল এই ঘটনাতেই স্পষ্ট।”
উল্লেখ্য, জম্মু-কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পাশাপাশি রাজ্যের মর্যাদা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অনেক বিক্ষোভ-প্রতিবাদ হয়েছে ভূস্বর্গে। অশান্তি থামাতে বিপুল সংখ্যক সেনা সেখানে মোতায়েন করা হয়। বন্ধ রাখা হয় ইন্টারনেট পরিষেবাও। কাশ্মীর ইস্যুতে বিরোধীদের বাণে বারবার বিদ্ধ হয়েছে কেন্দ্রের শাসকদল। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানায় পাকিস্তান। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেনি নয়াদিল্লি। সরকার সাফ জানিয়ে দেয়, এটা সম্পূর্ণ দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এক্ষেত্রে কোনও তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না। যদিও উপত্যকার বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের ঘটনায় ইতিমধ্যেই মামলা দায়ের হয়েছে শীর্ষ আদালতে। গত বুধবার থেকে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে শুরু হয়েছে মামলার শুনানি।
Be the first to comment