মালদহের ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের ২৩ জন শ্রমিক মিজোরামে কাজ করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। আইজল থেকে প্রায় ২১ কিলোমিটার দূরে সাইরাং এলাকায় নির্মীয়মাণ রেলব্রিজ ভেঙে মৃত্যু হয় তাঁদের। ঘটনার দু’দিন যেতে না যেতেই ফের দুঃসংবাদ। এবারের ঘটনাস্থল দিল্লি। সেখানে রাজমিস্ত্রির কাজে গিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের তিন শ্রমিক। কিন্তু সেখানে গিয়ে এত বড় বিপদ জীবনে নেমে আসবে তা হয়তো কখনও কল্পনা করে উঠতে পারেননি তাঁরা। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতদের নাম গোকুল মণ্ডল (৪৪), শুভঙ্কর রায় (৩১), ইসরাইল শেখ (৩৩)। এদিকে গত বুধবারই বাংলার শ্রমিকদের টাকার লোভ দেখিয়ে মিজোরামে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেন তিনি। তবে, শুধু ঠিকাদার নন, যারা টাকার লোভ দেখিয়ে বাংলার থেকে তরুণ-তরুণীদের বাইরে কাজের জন্য নিয়ে যাচ্ছেন, সবার বিরুদ্ধেই কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত গোকুল মণ্ডল সামশেরগঞ্জের ধূলিয়ান পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে পাহাড়ঘাঁটি এলাকার বাসিন্দা। শুভঙ্কর রায় ধুলিয়ানের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বেতবোনা গ্রামের বাসিন্দা। পাশাপাশি ইসরাইল শেখের বাড়ি ফরাক্কা থানার অন্তর্গত ইমামনগর গ্রামে। পরিবার সূত্রে খবর, মাস দু’য়েক আগে নিজ বাড়ি থেকে রাজমিস্ত্রি কাজের উদ্দেশ্যে দিল্লির গাজিয়াবাদে গিয়েছিলেন এই তিনজন। প্রতিদিনের মতো শুক্রবারও রাজমিস্ত্রির কাজ করছিলেন তারা। সেই সময় অসাবধানবশত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিন শ্রমিক। তড়িঘড়ি তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসকরা তিন জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এদিকে, মৃত্যুর খবর পৌঁছতেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়। তবে দিল্লির হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পরই মৃত শ্রমিকদের দেহ বাড়ি নিয়ে আসা হবে।
Be the first to comment