এসএসকেএমে দুষ্কৃতী তাণ্ডব, হকিস্টিক-উইকেট নিয়ে হামলা রোগীর আত্মীয়র উপর, প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা

Spread the love

 

রোজদিন ডেস্ক :-

ফের প্রশ্নের মুখে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা। সাত সকালে এসএসকেএম হাসপাতালের মধ্যে হকিস্টিক এবং উইকেট নিয়ে ঢুকে তাণ্ডব চালাল দুষ্কৃতীরা। দুষ্কৃতীদের মারে গুরুতর জখম এক রোগীর আত্মীয়। গোটা ঘটনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলেছেন চিকিৎসকরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। এ নিয়ে চাঞ্চল্য হাসপাতাল চত্বরে। আতঙ্কে রোগী, রোগীর পরিজন এবং চিকিৎসকেরা। ঘটনাস্থলে গিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার সকাল ৮টার পর এসএসকেএমে বাইক নিয়ে ঢুকে পড়েন কয়েক জন। অভিযোগ, তাঁদের হাতে ছিল হকি স্টিক এবং উইকেট। ট্রমা কেয়ার সেন্টারে চিকিৎসাধীন এক রোগীর আত্মীয়কে বেধড়ক মারধর করা হয়। একাধিক জুনিয়র ডাক্তারের অভিযোগ, ঘটনাস্থলে পুলিশ ছিল। কিন্তু তারা গন্ডগোল দেখেও না দেখার ভান করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, রবিবার সকালে ১০-১৫ জনের একটি দল বাইক নিয়ে হাসপাতালে ঢোকে। যুবকদের হাতে ছিল উইকেট এবং হকি স্টিক। তাঁরা ট্রমা কেয়ার সেন্টারের দিকে এগিয়ে যান। সেখানে এক জনকে মারধর করে তাণ্ডব চালিয়ে বেরিয়ে যান। স্থানীয় সূত্রে খবর, দুই পক্ষের গন্ডগোল থেকেই এই তাণ্ডবের ঘটনা ঘটেছে। ট্রমা কেয়ার সেন্টারে বাঁকুড়া থেকে আসা এক রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। রবিবারই তাঁর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার কথা। জানা যাচ্ছে, তাঁর ছেলে সৌরভ মোদক ট্রমা কেয়ার সেন্টারের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাঁকেই বেধড়ক মারধর করা হয়। মাথা ফাটে ওই যুবকের। তাঁকে মারধর করে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যান ওই যুবকেরা। তাঁদের পরিচয় কী, কী নিয়ে এই গন্ডগোল, এখনও সে সব পরিষ্কার নয়। তবে রাজ্যের বৃহত্তম সরকারি হাসপাতালে এমন ঘটনায় রোগী এবং চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে আবার প্রশ্ন উঠল।
গোটা ঘটনায় হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন চিকিৎসকরা। তাঁদের কথায়, “যে দাবিতে গত ২ মাসের বেশি সময় ধরে জুনিয়র চিকিৎসকরা পথে বসে রয়েছেন, ৯ দিন ধরে অনশন চলছে, সেই নিরাপত্তার দাবি তো এখনও খাতায় কলমেই রয়ে গেছে। তা না হলে সরকারি হাসপাতালের মধ্যে এমন ঘটনা ঘটে কী করে?”
আরজি করের নির্যাতিতার বিচার, প্রতিটি হাসপাতালে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা-সহ ১০ দফা দাবিতে গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে আমরণ অনশনে বসেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এরপরই অনশন প্রত্যাহারের আর্জি জানিয়ে সাংবাদিক বৈঠক থেকে মুখ্যসচিব বলেছিলেন, ‘৩ দিনের মধ্যে হাসপাতালের নিরাপত্তা সংক্রান্ত ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হবে।” ইতিমধ্যে মুখ্যসচিবের দেওয়ার সময়সীমাও অতিক্রান্ত।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*