ঝালদায় খুন হয়ে যাওয়া কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর ওয়ার্ডের উপ-নির্বাচনে বুধবার ফল ঘোষণা হতেই দেখা গেল বিশাল ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী তথা তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দু। ৭৭৮ ভোটে মিঠুন হারিয়েছেন তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের জগন্নাথ রজককে ৷ যার ঝুলিতে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ১৫২। অন্যদিকে ঝালদা নিহত কাউন্সিলর তপন কান্দুর ওয়ার্ডে দাঁতই ফোটাতে পারল না বিজেপি ৷ মাত্র ৩২টি ভোট পেয়ে উড়ে গেল বিজেপি ৷
২ নম্বর ওয়ার্ড দখলে রেখে জয়ী মিঠুন বলেন, এই জয় ওয়ার্ডের মানুষের জয়, এই জয় কাকুর জয়। অন্যদিকে জয়ের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে নিহত তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু বলেন, ওয়ার্ডের মানুষজন যেভাবে আমার স্বামীকে জয়ী করেছিলেন একইভাবে তাঁরা মিঠুনকেও জয়ী করলেন, সকলকে অনেক ধন্যবাদ এইভাবে আমাদের পাশে থাকার জন্য, আমাদের ভালোবাসার জন্য।
তিনি আরও বলেন, তৃণমূল আমার স্বামীকে খুন করেছে যাতে তিনি ঝালদার পৌরপ্রধান না হতে পারেন। তৃণমূল কংগ্রেস ফের উপ-নির্বাচনও করাল। কিন্তু এই এলাকার মানুষ তাদের যোগ্য জবাব দিয়ে দিয়েছে। আমি খুশি। সবমিলিয়ে জয়ের পর ঘাসফুলকে ঘৃণাভরে কটাক্ষ ছুড়ে দেন পূর্ণিমা কান্দু।
অন্যদিকে, এই পরাজয়ের জন্য দলের অন্তর্ঘাতকে দায়ী করছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জগন্নাথ রজক ৷ তিনি বলেন, “দলীয় অন্তর্ঘাত না হলে এত কম ভোট হত না, ২০০ গণ্ডি পার করতে পারলাম না। জয়ের পরই ওই ওয়ার্ডে তপন কান্দুর ছবি নিয়ে “তপন কান্দু অমর রহে” স্লোগান দিয়ে মিছিল করে কংগ্রেস অনুগামীরা। মিছিলে পুরোভাগে ছিলেন জয়ী মিঠুন কান্দু।
উল্লেখ্য, পুরুলিয়ার ঝালদা পৌরসভায় মোট ১২টি ওয়ার্ড রয়েছে। তার মধ্যে ৫টি ওয়ার্ডে জিতেছিল তৃণমূল এবং কংগ্রেস। ২টি আসনে জিতেছিল নির্দল। পরে কংগ্রেস প্রার্থী তপন কান্দু খুন হওয়ায় উপ-নির্বাচন হয়। তাঁর ভাইপো মিঠুন কান্দু জিতে যাওয়ায় 2 নম্বর ওয়ার্ড ধরে রাখতে পারল কংগ্রেস।
Be the first to comment